বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামপুরহাট কাণ্ডের ফলে বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রথমে তৃণমূল নেতা খুন এবং পরে একাধিক বাড়িতে আগুন লেগে বহু মানুষের প্রাণ হারানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। সরব হয়েছে বিরোধীরা। আর এবারে শিলিগুড়ি সভা থেকে মমতা ব্যানার্জির করা বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ সেই বিতর্ককে আরো বাড়িয়ে তুললো।
রামপুরহাটের বাগটুই-এ প্রথমে ভাদু শেখ নামে এক তৃণমূল নেতা খুন হয় এবং এরপর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগার ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এরপরে বিরোধীরা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। বর্তমানে হাইকোর্ট মামলাটিকে পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এদিন শিলিগুড়িতে তৃণমূলের একাধিক প্রকল্পের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণ করেন। তিনি এদিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, এর আগে সিবিআই নোবেল চুরির তদন্ত চালায় এবং এছাড়াও তাপসী মালিক এবং একাধিক মামলায় তদন্ত করলেও এখনো পর্যন্ত কোনোটিতে সাফল্য পায়নি।
তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘটনাটি জানার পরে সেখানকার ওসি সহ অনেক পুলিশকে তিনি সাসপেন্ড করেন। মমতা ব্যানার্জি স্বীকার করে নিয়েছেন যে প্রথমে পুলিশের গাফিলতি ছিল আর সে কারণেই তিনি তাদের সাসপেন্ড করেছেন। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করেন এবং আগুন লেগে যাওয়া বাড়িগুলির মেরামত পিছু অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। এসবের পরেও বিরোধীরা কেন শাসকদলকে আক্রমণ করে চলেছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিনের সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বলেন যে প্রথমে তৃণমূল নেতা খুন হয় এবং তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগে। তা সত্বেও বিরোধীরা তাদেরকে গালাগাল করে চলেছে। ফলে এদিন সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বিরোধীদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তারপর এই বিতর্ক যে আরো বাড়বে তা বলা যায়।