বাংলাহান্ট ডেস্ক: আনিস খান হত্যাকান্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মীকে, এদিন নবান্ন থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হত্যা মামলার কিনারা করতে সক্রিয় রাজ্য সরকার, এদিন একথাও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে বিরোধীদের হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নবান্নের শিল্প বৈঠক থেকে আনিস খান হত্যা মামলা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান যে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মীকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যাতে তদন্ত নিরপেক্ষ হয়, যাতে ওই দুজন কোনও ভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত না করতে পারে, সেই কারণেই দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ যদি সত্যি হয় অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।’
আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হলেও সিটকে তদন্তে সাহায্য করতে অস্বীকার করেছে মৃতের পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছেন তাঁরা। এদিন এই দাবিকে কার্যতই নাকচ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাপসী মালিকের হত্যাকাণ্ড থেকে নন্দীগ্রাম কান্ড, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির তদন্তের ভারও রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু এতদিন এর কোনো সুরাহা হয়নি। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করে রাজ্য পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ রাজ্যপুলিশই বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকে, একথাও মনে করিয়ে দিতে দেখা গেছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘আজ নিজেরা ক্ষমতায় নেই বলে সিবিআই সিবিআই বলে চিৎকার করছে। মনে রাখবেন, আগামিদিনে আপনার বাড়িতে চুরি হলে পুলিসকে ডাকবেন না তো? লাখ মানুষের মধ্যে ১০ জন যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে। কিন্তু সবাই খারাপ? পুলিসকে তার কাজ করতে দিন। বাংলাকে আঁচড়াতে কামড়াতে দেব না। একটা ঘটনা ঘটলে সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। সরকার চেষ্টা করার পরও এসব হচ্ছে? কী ‘অ্যাকশন’ হয়েছে হাথরসে? কী হয়েছে উন্নাওতে? কোনও কিছু হলে আমরা জাত ধর্ম দেখে পদক্ষেপ নিই না।’
এদিন বিরোধীদের কড়া হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আন্দোলন করে বড় হয়েছি। আমাকে কেউ আন্দোলন শেখাবেন না। গতকাল কলকাতায় যা হয়েছে তা অনভিপ্রেত’। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, রাস্তা আটকে এভাবে আন্দোলন করা সম্পুর্ন অনুচিত।