বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক টেট (Primary Tet) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। গতকাল থেকে সল্টলেকের (Saltlake) এপিসি ভবনের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শনে বসেছে টেট চাকরি প্রার্থীরা। এই আন্দোলন বর্তমানে আমরণ অনশনে পরিণত হয়ে চলেছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিয়োগপত্র হাতে না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সকল বিক্ষোভকারীরা আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাফ জবাব, “এটা বিচারাধীন বিষয়। যা জিজ্ঞাসা করার, আদালতে গিয়ে করো।”
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বাংলা। একদিকে এই মামলার শুনানি চলাকালীন একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীরা জেল হেফাজতে, আবার অপরদিকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আন্দোলন করে চলেছে চাকরি প্রার্থীরা। একদিকে যখন কালীপুজোর আগে সেজে উঠছে মহানগরী, সেই সময় গতকাল থেকেই সল্টলেকে এপিসি ভবনের নিকট অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে চাকরিপ্রার্থীরা।
শুধু তাই নয়, এদিন ইতিমধ্যেই আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ পত্র হাতে না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এর মাঝেই এদিন জলপাইগুড়ি থেকে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এইসব বিষয় নিয়ে আমি এখন আলোচনা করতে চাই না। এটা বিচারাধীন বিষয়। তোমাদের যা জিজ্ঞাসা করার, আদালতে গিয়ে করো।”
যদিও অপরদিকে হার মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, “২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করল পরবর্তীতে নিয়োগ পত্র হাতে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে বারংবার ইন্টারভিউ দিলেও চাকরি মেলেনি। আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।”
অপরদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, “২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের সকলকে চাকরি দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এরপর একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। এখন চাকরি দিতে অস্বীকার করছেন উনি। এটাই কি আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী?” ফলে সব মিলিয়ে টেট আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ইস্যুতে শোরগোল তুঙ্গে আর এই পরিস্থিতিতে আপাতত আদালতের দিকেই বল ঠেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।