বাংলাহান্ট ডেস্ক: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে বাংলা ছবির স্তুতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে। বাংলা ছবিকে বিশ্বসেরা বলে দাবি করে তিনি বলেন, সিনেমা সিরিয়ালের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে। আগামী বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে টলিউডকেও ডাকার পরিকল্পনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সূচনা করা হয় চলচ্চিত্র উৎসবের। টলিউডের এক ঝাঁক তারকাদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় সপ্তাহ ব্যাপী সিনেমার উদযাপন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার সিনেমার গৌরব এখনো অক্ষত রয়েছে। বাংলা সিনেমা গোটা বিশ্বের মধ্যে সেরা। কিন্তু সমস্যা একটাই বাংলা সিনেমার তেমন ব্র্যান্ডিং নেই। বলিউডে যেমন বহু মানুষ ছবিতে অর্থ বিনিয়োগ করে। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে সেটা খুব কমই হয়। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি শত্রুঘ্ন সিনহাকে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, বিষয়টা নিয়ে বলিউডের সঙ্গে আলোচনা করতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, বহু মানুষ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। সিনেমা, সিরিয়ালও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি ঠিক করেছেন, আগামী বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ডাকা হবে টলি ও টেলি ইন্ডাস্ট্রিকে।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু হবে সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দিয়ে। এছাড়া পথের পাঁচালী, নয়ক, পরশ পাথর, সোনার কেল্লা সহ প্রবাদপ্রতিম পরিচালককে নিয়ে শ্যাম বেনেগালের তৈরি একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হবে। এবারে প্রয়াত পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অভিনেতা দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপি লাহিড়ী, সুমিত্রা ভাবে, জাঁ পল বেলমন্দো, জাঁ ক্লদ ক্যারিয়ের এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানানো হবে চলচ্চিত্র উৎসবে।
নন্দন ১, ২, ৩, নজরুল তীর্থ ১, ২, রবীন্দ্র সদন, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, কনফারেন্স হল, চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন, কলকাতা ইনফর্মেশন সেন্টার এবং শিশির মঞ্চ সহ মোট দশটি জায়গায় প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্র উৎসবেরের ছবি। ১০০ শতাংশ দর্শকই বসতে পারবে আসনে। ১৬০ টি ছবির মধ্যে ৬২ টি বাংলা ছবি থাকছে। পয়লা মে তে রবীন্দ্র সদনে সমাপ্তি হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেরের।