একুশের ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। এরই মধ্যে রাজ্যে কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) । বুধবার রাজ্যের যুব সমাজকে আশ্বস্ত করে তিনি জানালেন, দীঘা, মেদিনীপুর, বানতলার মতো একাধিক জায়গায় কয়েক লাখ কর্মসংস্থান হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য। বাংলার যুব সমাজের চিন্তার কোনো কারন নেই।
এই কর্মসংস্থান এর খতিয়ান তুলে ধরার সময় জানান, বানতলার চর্মশিল্পে ৫ লাখ মানুষ কাজ পাবেন। মেদিনীপুরে জার্মানির সহযোগিতায় যে সৌরবিদ্যুৎ গড়ে উঠছে সেখানেও হবে প্রচুর চাকরি। এই তালিকায় রয়েছে দীঘাও। তিনি আরো বলেন “আমাদের এখানে জঙ্গল, সমুদ্র, পাহাড় সবই রয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটন ব্যবসারও উন্নতি করা সম্ভব।”
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জিও হাব সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, দিঘায় এই জিও হাব হলে তা উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত সাইবার কোম্পানির জন্য খুব সুবিধা হবে। এই প্রকল্পে বাংলায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মুকেশ আম্বানির সংস্থা।
মমতা ব্যানার্জির সরকার মনে করছে এই হাব হলে ইনফর্মেশন টেকনোলজি (আইটি) এবং ইনফর্মেশন টেকনোলজি এনাবেলড সার্ভিসেস (আইটিইএস) হাব গড়ার দিকে রাজ্য আরো এক কদম এগিয়ে যাবে।
যদিও রাজ্যের চাকরি পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। রাজ্যের বন সহায়কের শূন্যপদ ছিল মাত্র ২ হাজার। অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতায় এই চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২০ লক্ষ। তাদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ এম.এ,এম.এস.সি, পিএইচডি এর মত উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক।