মমতার বারণ সত্বেও ভ্রুক্ষেপ নেই বিধায়কের, দিনদিন বাড়িয়ে চলেছেন দলের অস্বস্তি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee) বারণ করার পর, কিছুদিন চুপ থাকার পর, আবারও আগের মেজাজেই ফিরলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (manoranjan byapari)। স্যোশাল মিডিয়ায় আবারও দেখা গেল, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর করা একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট।

দল বিরোধী নানারকম পোস্ট করার জন্য, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় নিজের ঘরে ডেকে মনোরঞ্জনকে বুঝিয়ে, এমন কাজ করতে বারণ করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। এরপর মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে বলতেও শোনা গিয়েছিল- নেটমাধ্যমে আর থাকব না। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই, আবারও ফুল ফর্মে স্যোশাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। যার কারণে, আবারও অস্বস্তিতে পড়ল সবুজ শিবির।

সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছিলেন, ‘লোকসভা ভোটে ৩৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা সিট, বেইমান বিশ্বাসঘাতকদের জন্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৯ হাজার লিড নিয়ে। যে প্রাক্তনকে দলে এনে টিকিট দিয়েছিলে, সেই তোমার পদটা খেয়ে নিল’।

আবার কদিন আগেই নাম না করে নেটদুনিয়ায় বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজিকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘বন্দুক রিভলভার দেখিয়ে যারা নির্বাচনে জয়লাভ করে, জনগণের প্রতি তাঁদের কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। তাঁরা ভাবে, এভাবে বারবার নির্বাচনে জয়ী হবেন না। কিন্তু আমি অভাবে এভাবে জিততে চাই না আর জিতিওনি’।

তৃণমূল নেত্রী বারণ করার পরও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই তৃণমূল বিধায়ককে। যার ফলে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। এই ঘটনায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দলে সকলের জন্য শৃঙ্খলা একই, তা সে মনোরঞ্জন ব্যাপারী হোক কিংবা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কোন সমস্যা হলে দলে বাইরে নয়, সকলকে দলের অভ্যন্তরেই জানাতে হবে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর