বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (corona virus) সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (who) তরফে সকলকে মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের মাস্ক (mask) একবারের বেশী ব্যবহার যোগ্য নয়। এবার প্লাস্টিকের অনেকবার ব্যবহার করবার মত মাস্ক তৈরি করলেন ভারতীয় গবেষকেরা।
প্লাস্টিক বোতল এই মুহুর্তে পৃথিবীতে অন্যতম দূষক। সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত হাজার হাজার প্ল্যাস্টিকের বোতল ফেলে দেওয়া হয় যত্রতত্র। আবার প্রতিদিন ফেলে দেওয়া মাস্কও পরবর্তীকালে দূষণ করতে পারে। এই দুই সমস্যার সমাধানই সম্ভব এই প্লাস্টিক বোতল থেকে তৈরি করা মাস্কে।
পাশাপাশি প্রচলিত মাস্কে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। কিন্তু জানা যাচ্ছে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে তৈরি মাস্কগুলোকে শ্বাস নেওয়ার যোগ্য করে তোলা হয়েছে। শুধু তই নয়, এগুলি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্রায় তিরিশ বার ধোয়া যাবে।
গবেষকদলের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এই মাস্ক n95 এর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। পাশাপাশি একটি n95 মাস্কের দাম যেখানে ২০০ টাকার ওপরে সেখানে এই মাস্কের দাম হবে মোটামুটি ২৫ টাকা। এই মাস্ক যদি বাজারে আসে তবে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য রক্ষায় ও দারুন উপযোগী হবে। পাশাপাশি একই মাস্ক ৩০ বার ধোয়া যাওয়ায় মানুষের পকেটের ওপর চাপও কম হবে।
এর আগে, বোম্বে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি-বি) এর একটি দল একটি “ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ” তৈরি করেছে যা দূর থেকে হৃদস্পন্দন শুনতে এবং তাদের রেকর্ড করতে পারে।জানা যাচ্ছে, রোগীর বুক থেকে প্রাপ্ত ডেটা বা শব্দ বেতারভাবে ব্লুটুথ ব্যবহার করে চিকিত্সকের কাছে প্রেরণ করা সম্ভব। যার ফলে চিকিৎসকদের রোগীর কাছে যেতে হবে না, কমবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিল গুয়াহাটি আই আই টি। তারা তৈরি করে ফেলেছে এমন এক যন্ত্র যা মাত্র ৩০ সেকেন্ডে জীবানু মুক্ত করে ফেলবে বিশাল এলাকা। জানা যাচ্ছে, সরকারি নির্দেশে এই যন্ত্র বানানো হয়েছে যা খুব কম সময়ে একটা বিরাট অংশ জীবানুমুক্ত করতে পারবে৷ পাশাপাশি তারা রোগিদের কাছে খাবার ও অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোবট তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করছে।