বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামনবমী ও চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে ধর্মীয় স্থানের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বন্ধ রাখতে হবে মাংসের দোকান। নবরাত্রির ৯ দিন ধর্মীয় স্থানের ৫০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে মাংসের দোকান খোলা যাবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের। এমনকি রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ, রামনবমীর দিনও বন্ধ রাখতে হবে মাংসের দোকান। ফলে, ঈদেও (Eid al Fitr) খুলবে না দোকান।
ঈদে (Eid al Fitr) বন্ধ মাংসের দোকান
রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন বিভাগের মুখ্যসচিব অমৃত অভিজিৎ জানান, বেআইনি কসাইয়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কমিশনারদের। অন্যদিকে, ধর্মীয় স্থানের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য জেলাস্তরে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটি।
আরও পড়ুন : অক্ষয় তৃতীয়াতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন! তার আগেই দিঘা নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে নজরদারি চালাবেন পুলিশ, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। চলতি বছর নবরাত্রির মধ্যেই পড়বে ঈদ (Eid al Fitr)। ধারণা করা হচ্ছে আগামীকালই ঘোষনা হতে পারে ঈদের (Eid al Fitr)। এই আবহে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়বেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম! ১২ বছর পর RSS -এর সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, এই সিদ্ধান্ত কিন্তু বাংলার জন্য নয়। যোগীরাজ্যের জন্য এই প্ল্যানিং করা হয়েছে। নবরাত্রি (Navaratri) উপলক্ষে আজ থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ থাকতে চলেছে মাংসের দোকান। আগামীকাল যদি ঈদ ঘোষণা হয়, তাহলে ভাটা পড়তে পারে ঈদের উৎসবে। বারাণসী পুরনিগমের মেয়র অশোক কুমার তিওয়ারি শনিবার জানিয়েছেন, শহরের সমস্ত মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে রবিবার থেকেই।
নবরাত্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিয়ম। সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে যাতে এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করা হয় সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। অশোক কুমার তিওয়ারির কথায়, “দেশের সংস্কৃতির রাজধানী বারাণসী। প্রতিদিন মন্দিরের শহর বারাণসীতে আসেন প্রায় ২ লক্ষ পুণ্যার্থী। তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে হবে।”
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি নষ্ট হতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারাণসী পুরনিগমের মেয়র অশোক কুমার তিওয়ারি বলেন, “আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়টিকে ঐতিহ্য ভেবে সম্মান জানানো। কখনওই ভাবা উচিত নয় যে কোনও নিয়ম জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’