দিনের পর দিন ধর্ষণের ফল, ১৪ বছর বয়সী নাতনির সন্তানের বাবা হল ষাটোর্ধ্ব দাদু

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ৬০ পেড়িয়ে গেলেও যৌন লালসা কমেনি! আর সেই লালসার শিকার হল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকায়। সেখানে সইফুল্লা মুন্সি মণ্ডল নামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের বিরুদ্ধে এক ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। লাগাতার ধর্ষিতা হয়েও কিশোরী ভয়ে কোনদিনও মুখ খুলতে পারেনি। অবশেষে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সইফুল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, আট থেকে ৯ মাস আগে প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমবার ওই ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল সইফুল্লা। এরপর হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে লাগাতার একই কাজ করতে থাকে সে। প্রাণে মারার হুমকি পাওয়ার পর এতদিনে কাউকে কিছু বলতে পারেনি নির্যাতিতা কিশোরী। তবে সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর বিষয়টি পরিবারের সামনে চলে আসে।

প্রথমে কিশোরীর মা ভেবেছিলেন যে, মেয়ের পেটে কোনও সমস্যা রয়েছে। আর এই কারণে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার নির্যাতিতাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। আর এরপর সে পুত্র সন্তান প্রসব করে। তখন পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। জোরাজুরি করায় নির্যাতিতা সইফুল্লার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আনে।

প্রতিবেশী সইফুল্লার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসার পরই নির্যাতিতা পরিবার গোপালনগর থাকার তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সইফুল্লার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, সইফুল্লা সম্পর্কে মেয়ের দাদু হয়। আর সে এতবড় ক্ষতি করে দিতে পারে, সেটা আমরা কোনও দিনও ভাবতে পারিনি। ওঁর কঠোর শাস্তি চাই। আমরা চাই ওঁর ফাঁসি হোক।

সম্পর্কিত খবর

X