বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) একদিকে যখন দেশ জুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব, তখন জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) ঘটে গেল এক নৃশংস ঘটনা। নিখোঁজ হওয়া এক কিশোরীকে দিনের পর দিন গণ ধর্ষণ করে খুন করে সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
নিখোঁজ কিশোরী
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। গত ১০ ই আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় এক কিশোরী। একটা গোটা রাত মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন সকালে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। গোটা এলাকা তোলপাড় করে খোঁজ চলতে থাকে ওই নিখোঁজ হওয়ায় কিশোরীর।
তদন্তে সফল পুলিশ
তদন্তে নেমে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ওই কিশোরীর নিখোঁজের রহস্যের কিনারা করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তদন্তের শুরুতেই স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে আরও দুজন অভিযুক্তের হদিশ।
অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্তরা
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশি জেরার মুখে বেশিক্ষণ নিজেদের মুখ বন্ধ রাখতে পারেনি অভিযুক্তরা। একদিন নয়, লাগাতার পাঁচ দিন ধরে ওই কিশোরীকে একাধিকবার গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, তারা আরও জানিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে একাধিকবার গণধর্ষণের পর গত ১৫ ই আগস্ট ওই কিশোরীকে খুন করে স্থানীয় প্রধানপাড়ার এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় তারা।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানায় স্থানীয়রা
অভিযুক্তদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ির প্রধানপাড়ার সেই বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাঁদের কথা মত ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীর মৃতদেহ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ দোষীদের উপযুক্ত কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে থানা ঘেরাও করে। তবে ঘটনার তদন্তে জারী রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাশে রয়েছে তৃণমূলও
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস ঘটনার প্রতিবাদে মৃত কিশোরীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির দাবী জানিয়েছে তৃণমূল।