বাংলা হান্ট ডেস্ক : এক দিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষজন বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়। মুসলিম সমাজ ক্রমশই বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে। কোনও ভাবেই দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ কিংবা অসম মেঘালয় ত্রিপুরা কোনও জায়গাতেই চাকরি কত আইন প্রনয়ন করতে দেওয়া যাবে না এই দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুধুই বিক্ষোভ চলছে। এমন কি কেরল বিধানসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধী প্রস্তাব পাশ হওয়ার কারণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে।
কোনও ভাবেই কোনও রাজ্য সরকার নাকি এই প্রস্তাব কেন্দ্রের তরফে পাশ হয়ে গেলে রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধী প্রস্তাব আনার ক্ষমতা নেই। তাই এক প্রকার কেন্দ্রের তরফে এই আইন প্রণয়ন করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কিন্তু মশাই সোচ্চার হচ্ছে মুসলিম সমাজ আর তাই এ বার মোদী ও শাহ জুটি ইংরেজ রাজত্ব ফিরিয়ে এনেছে বলে অভিযোগ তুললেও মুসলিম সমাজ।
হুগলির বৈদ্যবাটির কাজীপাড়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত নাগরিক সংগ্রামী সুরক্ষা মঞ্চের উদ্যোগী যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখান থেকেই মুসলিম সমাজ এর প্রত্যেকটি ব্যক্তি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কালাকানুন বলে হিটলারের সিদ্ধান্ত বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এনআরসি ও সিএ জোর করে মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অল বেঙ্গল মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আফজাল জিন্না।
যদিও এখানেই থেমে থাকেননি নাগরিক কত সংশোধনী আইনকে কালাকানুন বলে উল্লেখ করে সাধারণ মানুষ এই আইনের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে তাই সংশোধন করতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। এমনিতেই বরাবর মুসলিম তাড়ানোর পরিকল্পনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলে দাবি তোলা হয়েছিল, এ বার এনআরসির সঙ্গে এই নাগরিকত্ব আইনের যোগ রয়েছে বলে দাবি তুলল মুসলিম সমাজ।