তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে আগুন! পথ অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম, তদন্তে পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন আর তার পূর্বে বাংলার একাধিক প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বনাম বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দ্বন্দ্বে সরগরম রাজনীতি। বিশেষত, নন্দীগ্রামে (Nandigram) একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে চলেছে আর এবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে আগুন ধরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই বিতর্ক আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পেল। এই ঘটনায় একে অপরকেই দোষারোপ করেছে শাসক এবং বিরোধী দুই দল।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যু এবং অন্যান্য একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেই উত্তপ্ত রয়েছে গোটা বাংলা। আবার অপরদিকে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এর মাঝে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁধলো বিপত্তি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তৃণমূল শহিদ দিবসের কর্মসূচি শেষ হয় আর এরপর রাতের দিকে মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে, যা কেন্দ্র করে এদিন সকাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এদিন নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে রাস্তা অবরোধ করে বসে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

শাসকদলের অভিযোগ, উক্ত ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে। এদিন নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, “সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী উস্কানিমূলক বক্তব্য করেন আর এরপরই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করার পাশাপাশি মঞ্চে আগুন লাগানো হয়।” পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের রাস্তা অবরোধ এবং বিক্ষোভ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুললেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেই খবর।

tmc bjp 1 2

অপরদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগসূত্র রয়েছে বলেই দাবি পদ্মফুল শিবিরের। এদিন বিজেপি নেতা সাহেব দাস বলে, “আমরা এই ধরনের কাজ করি না। ওরা মৃত প্রায়, আমরা কেন বাড়তি অক্সিজেন দিতে যাব? পুলিশ দোষীদের ধরুক, আমরা এটাই চাই। আসলে যে ঘটনা ঘটেছে, তা ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর