বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহাজগতের সর্ব প্রথম সাংবাদিক (Journalist) হিসাবে ধরা হয় মহর্ষি নারদ (Narad) মুনিকে। তিনি মহাজগত তথা স্বর্গলোকের দেবতাদের মধ্যে কথা বার্তা আদান-প্রদানের যোগসূত্র ছিলেন। তিনি হলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসিক পুত্র। ৮ ই মে হল নারদ জয়ন্তী।
মহর্ষি নারদের এই জন্মতিথিকে নারদ জয়ন্তী হিসাবে পালন করা হয়। তিনি সর্বমন দিয়ে হরিভক্ত ছিলেন। ত্রিলোকের সর্বত্রই তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। তিনি সব বিষয়েই হস্তক্ষেপ করতেন। এবং দেবতাদের মধ্যে কথার আদান প্রদান করতেন। সেই কারণে নারদ মুনিকে প্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসাবে ধরা হয়। সংবাদ জগত তাঁর দেখানো পথেরই পথিক।
শিব-পার্বতীর বিবাহে তিনি ঘটক রূপে অবতীর্ণ হলেও, তিনি নিজের জীবনে বিবাহ থেকে অনেক দূরে ছিলেন। পিতা ব্রহ্মা তাঁকে জগত সৃষ্টির কাজে যোগদান করতে এবং বিবাহ করতে বলায়, তিনি তা অস্বীকার করেন। প্রজাপতি ব্রহ্মা ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে আজীবন অবিবাহিত থাকার অভিশাপ দেন।
পুরাণে আবার কিন্তু আমরা নারদ মুনিকে এক সজ্ঞীতজ্ঞ হিসাবেই উল্লেখ পাই। তিনি বীণা বাদ্যযন্ত্র এবং নারদ সংহীতা নামক সংগীত শাস্ত্রেরও সৃষ্টি করেন।
শাস্ত্র মতে, রাজা দক্ষিণ এবং তাঁর স্ত্রীর সংযুক্তির ১০ হাজার পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। কিন্তু নারদজি তাঁদের পুত্রদের মোক্ষ লাভের শিক্ষা দিয়ে রাজপাঠ থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছিলেন। নারদ মুনির এই কাজে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে তিরস্কার করে এবং অভিশাপ দেন নারদ মুনি কখনই এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে পারবেন না।