প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ চিত্রকূটের ভারতকাপে বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেস-ওয়েের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন। ১৪,৮৪৯.৯ কোটি ব্যয়ে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়েটি বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলকে সড়কপথে জাতীয় রাজধানী দিল্লির সাথে সংযুক্ত করবে। এর আগেও বড় নির্মানের সাক্ষী হয়ে আছে ভারত। আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে চিত্রকূটের কাছে ভারতকুপ থেকে শুরু হয়ে বান্দা, হামিরপুর, মহোবা এবং আওরাই হয়ে ইটওয়ারার কুদরাইল গ্রামের কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েকে কানেক্ট করবে।
এটি বুন্দেলখণ্ড থেকে দেশের রাজধানী দিল্লিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় সাশ্রয় করবে। এর সাথে সাথে, এই এক্সপ্রেসওয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা করিডোরের আরও এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবার দুপুর ১ টায় প্রয়াগরাজ থেকে সেনা হেলিকপ্টারটিতে ইউপি গভর্নর আনন্দীবেন এবং সিএম যোগী আদিত্যনাথের সাথে ভারতকুপ এলাকার গন্ডা গ্রামের হেলিপ্যাডে নেমেছিলেন এবং বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজে একটি পূজা করেন।ভিত্তি প্রস্তর শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি কিছু লোকের সাথেও দেখা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দুপুর দেড়টায় সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা চিঠি এবং চেকও হস্তান্তর করেন। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে তিনি দুপুর আড়াইটায় রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রয়াগরাজ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিমানের মাধ্যমে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে প্রয়াগরাজকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
তথ্য মতে, বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েটি ২৯৬ কিমি দীর্ঘ হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের কারণে চিত্রকুট, বান্দা, মহোবা, হামিরপুর, জালুন, ওড়াইয়া এবং ইটাওয়াহ জেলার মানুষ ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। বুন্দেলখণ্ডকে দিল্লির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য এই এক্সপ্রেসটি তৈরির আনুমানিক ব্যয় ১৪৪৮৯.০৯ কোটি টাকা বলা হচ্ছে। এই ২৯৬.০৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি বর্তমানে চার লেনের হবে। ভবিষ্যতে এটি ৬ টি লেনেও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।