‘নির্বাচনে জয়লাভের পর মাথা নত করে বাংলার মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করব’, ভার্চুয়াল সভায় প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে বাংলায় (west bengal) সশরীরে এসে নির্বাচনী প্রচার আগেই বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। এখনও বঙ্গে বাকি দুফার নির্বাচন। তাই রাজ্যের বাকি ৫৬ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিনের ভার্চুয়াল সভাতে চিরাচরিত ভঙ্গিতে তৃণমূল সরকারকে একবারও আক্রমণ করতে শোনা গেল না প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে তাঁর মুখে একবারও শোনা গেল না ‘দিদি, ও দিদি’। প্রকাশ্য জনসভা না হওয়ায়, এই ভার্চুয়াল সভা কিছুটা যেন জৌলুসহীন লাগল।

সভার শুরুতেই বাঙালীর আবেগকে উসকে দিয়ে তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের বিখ্যাত রচনা ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’। টানা ৩০ মিনিটের এই বক্তৃতায় অন্যান্য দিনের মত একবারও তিনি তৃণমূলকে কোণঠাসা করলেন না। শুধু বিজেপির প্রতিশ্রুতির কথাই বলে গেলেন।

প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘এই ছয় দফা নির্বাচন বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলার প্রতিটি কোণায় কোণায় গিয়ে মানুষের কথা শুনে বুঝতে পেরেছি, সোনার বাংলা তৈরির জন্য তাঁরা ঠিক কতোটা আগ্রহী। মানুষের এই ইচ্ছা পূরণের সংকল্প নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি আমি। এই নির্বাচন শুধুমাত্র পরিবর্তনের নয়, আশা- আকাঙ্খার’।

এরপর তিনি বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে যুব সম্প্রদায়কে চাকরি দেওয়া হবে, মহিলাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে, থমকে থাকা মেট্রো প্রকল্পের কাজ এগোবে। সেইসঙ্গে গুণ্ডামিমুক্ত, ভ্রষ্টাচারমুক্ত এক বাংলা উপহার দেব আপনাদের’।

তবে বক্তৃতার শুরুতেই বাংলায় সশরীরে না আসতে পারার জন্য দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেইসঙ্গে আশ্বাস দেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভ করে ২ রা মের পর মাথা নত করে বাংলার মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করব’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর