বাংলাহান্ট ডেস্ক : শীতের মরশুমে পর্যটকদের জন্য চলে এল এক দুর্দান্ত খবর। রাজ্যের (West Bengal) কোনও জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে ঢুকতে গেলে আর একটা টাকাও খরচ করতে হবে না পর্যটকদেরকে। ইতিমধ্যেই আজ অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে, বঙ্গবাসী যে ভীষণ খুশি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
ফ্রি’তেই হবে রাজ্যের (West Bengal) জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য সফর
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া, জলদাপাড়া ও গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই নয়া নিয়ম। তবে এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার যে, যেসব পর্যটকরা আগে জিপসি গাড়ি এবং গাইড নিয়ে আসবেন, তারাই কেবল জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, নিয়ম মেনে প্রতিটি ওয়াচ টাওয়ার প্রতি যতজন যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হত সেভাবেই পর্যটকরা (Tourist) যেতে পারবেন। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক প্রবীন কাশোয়ান জানান, রাজ্যের কোনও জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে ঢোকার জন্য আর টিকিট কাটতে হবে না। পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এভাবেই চলবে।
আরোও পড়ুন : আদানিকে টক্কর দিতে আম্বানির মাস্টারস্ট্রোক! তৈরি করতে চলেছেন বিশ্বের সবথেকে বড়….
লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানান, “শুনেছি যে মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় উদ্যানের প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকিটের উপর ছাড় দিয়েছেন।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা জাতীয় উদ্যানে ঢোকার জন্য যে জিপসি গাড়ি করে যেতেন তাতে রোড ট্যাক্স হিসেবে লাগত ৪৮০ টাকা।”
আরোও পড়ুন : ‘সরকারের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই’! অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’ নিয়ে বিস্ফোরক স্পিকার! তোলপাড় বাংলা
দিব্যেন্দু দেবের কথায়, “আমরা বহুবার রোড ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছিল টিকিটের দাম। টিকিট না নেওয়ার ফলে ইকো পর্যটনের মাধ্যমে বনবস্তি ও গ্রামীণ মানুষের জীবন জীবিকার ওপর যাতে আঘাত না আসে সেটাও সরকারের দেখা উচিত।” একইসঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
এদিকে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানান, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে প্রবেশে কোনও টিকিট কাটা যাবে না। এতে পর্যটকদের ভালো হবে। পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করি। এত টাকা দিয়ে পর্যটকদের জঙ্গল যাওয়া সমস্যা ছিল। পর্যটন একটা বড় শিল্প। এটাকে বাঁচাতেই হবে৷ আমিও পাঁচ বছর এই দফতরের দায়িত্বে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে সবাই খুশি ।”