বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভারত (India) এবার সফলভাবে তার সবচেয়ে বিপজ্জনক সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোসের (Brahmos) একটি নতুন সারফেস টু সারফেস ভার্সানের পরীক্ষা করেছে। এই পরীক্ষাটি সম্প্রতি পূর্ব সমুদ্র উপকূলের দ্বীপের কাছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স দ্বারা সম্পন্ন হয়।
ভারতীয় বায়ুসেনা এই বিষয়ে এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে আপডেট জানিয়েছে। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স বলেছে যে, ওই মিসাইল ফায়ার সফল হয়েছে এবং মিশনটি তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে। পাশাপাশি, আরও জানানো হয়, “ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স সম্প্রতি পূর্ব সমুদ্র দ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের কাছে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের সারফেস-টু-সারফেস ভার্সানটি সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। মিসাইল ফায়ার সফল হয়েছিল এবং মিশনটি তার সমস্ত উদ্দেশ্যও পূরণ করে।”
Bull's Eye !
The #IAF recently carried out a successful test of its Surface to Surface version of the #Brahmos Missile near the Eastern Seaboard archipelago.
The missile fire was successful and the mission achieved all its objectives.#AtmanirbharBharat@BrahMosMissile pic.twitter.com/YOHi5IKr1I
— Indian Air Force (@IAF_MCC) October 11, 2023
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কয়েক মাস আগে, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি ডিকমিশনড জাহাজে একটি ফাইটার জেট থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লাইভ ফায়ার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ভারত তার ট্যাকটিক্যাল মিসাইলের রেঞ্জ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যস্ত রয়েছে। এদিকে, ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বায়ুসেনার ৪০ টি সুখোই-৩০ MKI যুদ্ধবিমানে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর সময়ে কি “ভিলেন” হবে বৃষ্টি? ক্যান্সেল হবে সব প্ল্যান? চলে এল বড় আপডেট
মূলত, ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি করা হয়েছে। এতে Ramjet Engine-এর প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে। যা এটিকে আরও ঘাতক এবং নির্ভুল করে তুলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বাতাসে তার পথ বদলাতে পারদর্শী। এমনকি এটি চলমান লক্ষ্যবস্তুকেও খুব সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
আরও পড়ুন: “সাইড প্লিজ….”, রাজ্যে আসছে পঞ্চম বন্দে ভারত, বদলাচ্ছে এই ট্রেনের রুট! প্রস্তাব গেল রেলের কাছে
এছাড়াও, এই মিসাইল সহজেই শত্রুপক্ষের রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি হালকা এবং দ্রুত ভার্সান অর্থাৎ ব্রহ্মোস-এনজি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি তেজস MK-1A যুদ্ধবিমানেও বহন করা যাবে।