বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) চতুর্থ বৈঠকের একদিন পরই নয়া বৈঠকের ডাক দিল JDU। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই বৈঠকের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের শরীকি দল। তারপর থেকেই নানারকম জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সকলের মনেই প্রশ্ন, নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) কি তবে ফের একবার কোনও চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন?
সূত্রের খবর, গতকাল অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর বড় কোনো সিদ্ধান্তের দিকে যেতে পারে JDU। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রায় 99 সদস্য এবং জাতীয় পরিষদে প্রায় 200 জন সদস্য রয়েছে। এদিকে জেডিইউ তার সমস্ত জাতীয় আধিকারিক, জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, সাংসদ, জেলা প্রধান এবং কমিটির সদস্যদের আগামী 29 ডিসেম্বরের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
সেই সাথে খবর, গতকাল বৈঠকের পর থেকেই বেশ অসন্তুষ্ট রয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। এদিকে গতকাল প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রথ থামানোর বিভিন্ন উপায় নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলেছে ইন্ডিয়া জোটের শরীকি দলগুলির মধ্যে। সেখানেই জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে উঠে এসেছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম।
আরও পড়ুন : সাহারার সঞ্চয়কারীদের টাকা ফেরত দেবে সরকার! প্রকাশ্যে বড় আপডেট, এইদিন মিলবে আমানত
তারপরেই নাকি অসন্তুষ্ট হয়ে ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠক থেকে তাড়াতাড়ি চলে গেছেন নীতিশ কুমার এবং লালু প্রসাদ যাদব। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম ঘোষণা করার সাথে সাথে লালু যাদব এবং নীতীশ কুমার এতে মতভেদ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন : ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে দুঃসংবাদ! উদ্বোধনের জন্য আরও দিন গুনতে হবে শহরবাসীকে
তারা দুজনেই বৈঠক থেকে তাড়াতাড়ি চলে যান এবং পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনেও অংশ নেননি বলে খবর। উভয় নেতার এই অবস্থানের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা জোরদার হয়েছে। রাজনৈতিক কারবারিদের ধারণা, জোটে নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত হয়ত বিহারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।