বাংলা হান্ট ডেস্ক : এইমুহুর্তে গোটা দেশের নজর যার উপর আটকে তা হল বারাণসীর জ্ঞানবাপী (Gyanvapi)। দীর্ঘ ৩১ বছর পর অবশেষে পুজোপাঠ শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে। বারাণসী আদালতের (Varanasi Court) নির্দেশেই শুরু হয়েছে পুজা আরতি। আর এবার বারাণসীর এই নির্দেশকেই বজায় রাখল এলাহবাদ হাই কোর্ট। জ্ঞানবাপী মামলায় ফের ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদের এই বিতর্ক আজকের নয়। বহু দশক আগে থেকেই হিন্দু পক্ষ দাবি করে আসছে যে, হিন্দু মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে জ্ঞানবাপী। যদিও মুসলিম পক্ষ এই দাবি মানতে নারাজ। তবে গত ২০২২ সাল থেকে এই বিতর্ক চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সমীক্ষা। সমীক্ষার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ (Archeological Survey Of India)।
ASI-র তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় তাতে একথা স্পষ্ট যে হিন্দু পক্ষের দাবি অমূলক নয়। আর এই রিপোর্টকে মান্যতা দিয়েই জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট তথা ‘ব্যাস কা তহখানা’য় পুজো আরতি করার অনুমতি দেয় বারাণসী আদালত। বুধবার রাতে জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেসের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’।
আরও পড়ুন: হাজার চেষ্টাতেও আটকানো গেল না, ‘ফাঁস’ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন, অপরাধীকে শনাক্ত করল পর্ষদ
শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে মামলাটি এলাহবাদ হাই কোর্টে পাঠানো হয়। আর আজ সেই মামলার শুনানিতে এলাহবাদ হাই কোর্ট বারাণসী আদালতের রায়কেই বহাল রাখল। উল্লেখ্য, মসজিদ চত্বরে পুজো অর্চনার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে মসজিদ কমিটি বলে, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই এখানে আর নতুন করে সমীক্ষা করা করানো যায় না।
আরও পড়ুন : মানবিকতার নজির, অন্তঃসত্ত্বাকে কাঁধে চাপিয়ে ৫ ঘন্টা বরফের রাস্তা পেরোলেন জওয়ানরা, স্যালুট দেশবাসীর
যদিও হিন্দু পক্ষের দাবি, ‘ব্যাস কা তহখানা’ ‘ব্যাস’ পুরোহিতদের সম্পত্তি। শৈলেন্দ্রকুমার পাঠক ব্যাস নামে ওই বংশের পুরোহিত আদালতে জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালের গোড়া পর্যন্ত তারা ওখানে পুজো অবধি করেছেন। তবে বাবরি ভাঙার পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঠেকাতে সেখানে পুজো বন্ধ করেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদবের সরকার। আর এবার পুনরায় সেই পুজো শুরু করার অনুমতি দিল বারাণসী কোর্ট। তারপর থেকেই জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু করেছে মুসলিমপক্ষ। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’-র তরফে শুক্রবার এলাকার সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসাক্ষেত্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।