বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘দুর্নীতি দুর্নীতি দুর্নীতি, আমরা এড়িয়ে চলি, কিন্তু দুর্নীতি আমাদের পছন্দ করে, তাই আমরা এড়িয়ে চলতে পারি না।’ সম্প্রতি সুপারহিট সিনেমা ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার টু’-র অনুকরণে এই মন্তব্যটিই এখন ভীষনভাবে প্রযোজ্য এ রাজ্যের জন্য। এসএসএসি নিয়োগে দুর্নীতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার, চাল চুরি। তৃণমূল সরকারে দুর্নীতির খতিয়ান লিখতে বসলে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হবে বৈকি।
সেই তালিকায় এবার যোগ আর একটি নতুন বিষয়। গাইঘাটার সুটিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। মহিলা সমৃদ্ধি যোজনায় তফশিলি জাতি-উপজাতিদের দেওয়া হচ্ছে না ঋণ। উল্টে কাটমানির বিনিময়ে ঋণ পাচ্ছেন অন্য সম্প্রদায়ের মহিলারা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এল সুটিয়া থেকে। এমনকি প্রধান, উপপ্রধান-সহ আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়। যদিও এই মানতে অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান।
২০২৩ এই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শিরোনামে উঠে এল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়া গ্রাম। যা নিয়ে বেশ কোণঠাসা অবস্থা সরকারের। স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা সমৃদ্ধি যোজনায় কোনও ঋণ পাচ্ছেন না। উল্টে ঘুষ দিয়ে সেই ঋণ নিয়ে যাচ্ছে অন্য সম্প্রদায়ের মহিলারা। জানা যাচ্ছে, এই অভিযোগে সুটিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত বিডিও-র কাছে অভিযোগ ও জানানো হয়েছে।
তবে এই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ সুম্পুর্ণ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। গাইঘাটার সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার সেভাবে কিছু জানা নেই। অভিযোগ হয়েছে কিনা তাও ঠিক জানি না। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটেও থাকে তাহলে সেটা খুবই অন্যায় হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা যাচ্ছে, মোট ১০ জনের তালিকা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা। কাজিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজপি শিবিরেও।