বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান একের পর এক উন্মাদের মতো কাজ করেই চলেছে। কিছুদিন ধরে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া পাকিস্তান এবার ভারতের সাথে আলোচনায় বসার কথা বলছে। ভারতের ক্ষমতা দেখে আর গোটা বিশ্বে একঘরে হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের এবার একটু হলেও সুবুদ্ধি হয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, পাকিস্তানি কখনো দ্বিপাক্ষিক স্তরে ভারতের সাথে আলোচনায় বসার বিরোধিতা করেনি। কুরেশি বলেন, ‘আমরা কখনো কথাবার্তা বন্ধ করার কথা বলিনি। যদিও, ভারত বর্তমানে যেই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, সেই পরিস্থিতিতে আমরা কটা বলতে পারব না।” কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে অন্য কোন দেশের হস্তক্ষেপ নিয়ে কুরেশি জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে যদি অন্য কেউ সাহায্য করতে চায়, তাহলে তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাব।
কুরেশি বলেছেন, ‘জম্মু কাশ্মীরে যেসব রাজনেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিলে পাকিস্তানের রাজনেতারা ভারতের সাথে কথা বলার জন্য প্রস্তুত হবে।” কুরেশি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে তিনটি পক্ষ থাকবে, আর সেটা হল ভারত, পাকিস্তান আর কাশ্মীরের মানুষ।” কুরেশি বলেন, ‘যখন কাশ্মীরের নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে, তখন কথাবার্তা চলতে পারে। তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতিও দিতে হবে আমাকে।” প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আমরা ভারতের সাথে কোনরকম দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসার জন্য প্রথম উদ্যোগ নেবেনা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এরফলে দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা আছে।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভারতের সাথে কথা বলার এখন কোন মানে নেই। আমি সবকিছু করেছি, দুর্ভাগ্য, আমি যখন পিছনে তাকিয়ে দেখি, তখন শুধু একটাই জিনিষ নজরে আসে যে, আমি শান্তির জন্য যা যা করেছি, ভারত সেটাকে তোষণ বলে ভেবেছে।”