বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার ভয়াবহ পরিস্থিতি। কোথাও মিলছে না শয্যা, তো কোথাও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব। অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক নয় এরাজ্যেরও। দিনে দিনে রেকর্ড হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায়ও।
এককথায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বিধ্বস্ত। গভীর রাত পর্যন্ত এক শ্বাসকষ্টের রোগী খাস কলকাতায় (Kolkata) সাতটি হাসপাতালে হন্যে দিয়ে ঘুরে বেড়ালেও মিলল না চিকিৎসা। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালের চিত্রটা একইরকম। বেড পাওয়া তো দূরের কথা উপসর্গ থাকা সত্তেও করোনা পরীক্ষা (Covid Test) করাতে পারলেন না কসবার বাসিন্দা সুপ্রিয়া পালের পরিবার।
গত শুক্রবার থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন সুপ্রিয়া দেবী। শনিবার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের তরফে প্রথমে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদেরকে জানানো হয় বেড নেই, সেখান থেকে সুপ্রিয়া দেবীর স্বামী দিলীপ পাল, তাঁকে নিয়ে যান মেডিকা হাসপাতালে, সেখানেও একই হাল। তখন তাঁরা যান বাইপাসের ডিসান হাসপাতালে। সেখানেও বেডের আকাল। তারপর তাঁরা যান গড়চার একটি নার্সিংহোমে। নিশুতি রাত পর্যন্ত সুপ্রিয়া পালের পরিবার এমন ভাবেই একাধিক হাসপাতালের চক্কর কাটেন।
তদুপরি কোথাও মিলল না সামান্যতম চিকিৎসাও। শেষে রবিবার সাতসকালে দিলীপ পাল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital)। সেখানে তাঁকে জানানো হয় করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, রেফার করা হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে (Calcutta National Medical College)। সেখানেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান বেড নেই। তবে চিকিৎসকরা দিলীপ বাবুকে সরকারি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেন। দিলীপ পাল সেখানে ফোন করতেই প্রতিনিধিরা জানান, করোনা পজিটিভ রিপোর্ট না থাকলে, তাঁরা কিছু করতে পারবেন না, তখন দিলীপ বাবু জানান, করোনা পরীক্ষা করাতেই তিনি একাধিক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তখন দিলীপ বাবু প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করেন তাহলে কি কোভিড আইসোলেশনে বেড নেই ? প্রশ্ন শুনে কলটি কেটে দেয় প্রতিনিধি। তারপর নিরুপায় দিলীপ পাল স্ত্রীকে নিয়ে ফের কলকাতা মেডিকেল কলেজে ছুটছেন।