২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোই লক্ষ্য ছিল PFI এর! চাঞ্চল্যকর দাবি ATS-র

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বছর উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতীয় রাজনীতি। মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-কে (PFI) নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। এবার সামনে এল সেই সংগঠন সম্পর্কে আরও বিস্ফোরক তথ্য। মহারাষ্ট্রের ‘অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড’ (ATS) -র দাবি ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতে ইসলামের শাসন জারি করাই প্রথম লক্ষ্য ছিল ওই সংগঠনের। আর সেই উদ্দেশ্যই প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য বিদেশি শক্তির কাছ থেকেই পাওয়ার পরিকল্পনাও হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে থেকে।

গত বছর তল্লাশির সময় গ্রেফতার হয় ৫ পিএফআই সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই স্থানীয় থানায় এক চার্জশিট দায়ের করে এটিএস। সেই চার্জশিটেই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, তাদের হাতে একটি নথি উঠে এসেছে। সেই নথির নাম ‘ভারত ২০৪৭- ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’। সেখানে এই লক্ষ্যপূরণের নীল নকশার কথা বলা হয়েছে। লেখা রয়েছে, ‘২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখছি আমরা, যখন ভারতে আবারও মুসলিম সম্প্রদায়ের শাসন ফিরবে।’

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইউএপিএ আইনের অধীনে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পিএফআই সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। বেআইনি কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্যই এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে।

pfi ban 2ea

এটিএস-র এই দাবি যে নিছকই অমূলক নয় তার প্রমাণ আগেও পাওয়া গেছে। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ হবে। তার মধ্যেই ভারতকে ‘ইসলামিক রাষ্ট্রে’ পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই। বৃহস্পতিবার বিহারের ফুলওয়ারি শরিফে হানা দিয়ে পিএফআই-এর বেশ কিছু বই এবং কাগজপত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। সেখান থেকেই পাওয়া গেছে এই তথ্য।

ফুলওয়ারি শরিফে হানা দিয়ে যে সব কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে পাওয়া গেছে ৮ পাতার একটা লিফলেট। তার শিরোনাম ‘ইন্ডিয়া ২০৪৭ – ইসলামিক শাসনে ভারত’। এই লিফলেট লেখা রয়েছে, ‘এটা প্রচারের জন্য নয়, শুধু সংগঠনের কর্মীদের জন্য’। এতে দাবি করা হয়েছে, ‘বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যার ১০ শতাংশও যদি পিএফআই-কে সমর্থন করে তাহলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের নতজানু করে ফেলবে তারা’।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর