বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির নির্যাতিতারা (Sandeshkhali Victims) যদি চান, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বুধবার পূরণ হল বিজেপির রাজ্য সভাপতির সেই প্রতিশ্রুতি। আজ বারাসাতের সভা শেষে সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন মোদী (Narendra Modi)। সভামঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়েই কথোপকথন হয় তাঁদের।
সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন পাঁচ মহিলা। এদিকে সন্দেশখালি থেকে আরও এক দল মহিলা মোদীর সঙ্গে দেখা করতে বারাসাত এসেছিলেন। তবে সময়মতো সভাস্থলে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের। লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের কাছে অনুরোধ করলেও কাজে আসেনি। নির্দিষ্ট সময়ে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে আর সাক্ষাতের সুযোগ পাননি তাঁরা।
আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আপ্লুত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা জানতে চান। শাহজাহান এবং তাঁর ভাই কীভাবে তাঁদের ওপর অত্যাচার করেছেন, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে কীভাবে তাঁদের ওপর হেনস্থা করা হয়েছে সব কিছু খুলে বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘পুরো বাংলায় সন্দেশখালি ঝড় উঠবে’! লোকসভা ভোটের আগে গর্জে উঠলেন মোদী
পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা না থাকার কারণে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান সংশ্লিষ্ট মহিলারা। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকা একজন আধিকারিক তাঁদের সকল অভিযোগ লিখে নেন। সন্দেশখালির মহিলারা রাস্তায় নেমে যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘আপনারাই তো মা দুর্গা’। একইসঙ্গে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির নজরে সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইডি আধিকারিকেরা। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি, ভেড়ি লুটের পাশাপাশি ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় মহিলারা জানান, রাতের অন্ধকারে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হতো। এরপর দলীয় কার্যালয়েই হেনস্থার শিকার হতেন তাঁরা। লাগাতার বিক্ষোভের পর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গ্রেফতার হন শাহজাহান। সম্প্রতি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।