কাজ শেখানোর নামে ব্ল্যাকমেল, ধর্ষণ! পুলিশের জালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিজেরই গ্রামের এক গৃহবধূকে শোলার কাজ শেখানোর নাম করে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শোলার শিল্পীর নাম আশীষ মালাকার। অভিযোগের ভিত্তিতে আশীষ মালাকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আশীষ মালাকার একজন শোলার শিল্পী। তার বাড়ি কাটোয়া মহকুমার বনকাপাশি গ্রামে। কাটোয়া মহকুমার বনকাপাশি গ্রামটি শোলার কাজের জন্য বেশ পরিচিত। এই গ্রামেরই একজন উজ্জ্বল শোলার কাজের শিল্পী হলেন আশীষ। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি পেয়েছিলেন শিল্পগুরু উপাধি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আশীষ মালাকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের শোলার কাজ শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য।

নির্যাতিতার অভিযোগ, এই শোলার কাজ শিখিয়ে দেওয়ার নাম করে আশীষ মালাকার তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। পাশাপাশি আরো অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে কিছু ছবি ও ভিডিও আশীষ তার ফোনে তুলে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত এই শিল্পী দীর্ঘদিন এই ধরণের অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। এরপর নির্যাতিতা সব কথা খুলে বলেন তার পরিবারকে। সব কথা জানতে পেরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা গ্রামবাসীদের সহযোগে হামলা করে আশীষ এর বাড়িতে। জানা গেছে বাড়িতে গিয়ে গ্রামবাসীরা আশীষকে মারধরও করেছেন। এছাড়াও কিছু মহিলা জুতো দিয়ে আশীষকে পেটান বলেও খবর।

ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কৈচর থানার পুলিশ। পুলিশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আশীষকে। এরপর নির্যাতিতা মহিলা আশীষ এর বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলকোট থানার পুলিশ আশীষকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। যদিও তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিল্পী আশীষ। আদালতে তার দাবি যে তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর