বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি আর ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে কার্যত বানভাসী রাজ্যের বিস্তীর্ন এলাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের পর এবার এই একই ছবি ধরা পড়েছে হুগলির বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। খবর মিলতেই বুধবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান তথা তৃণমূলের তারকা সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)।
রচনাকে (Rachna Banerjee) খোঁচা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শ্রীলেখার
এদিন এলাকায় বন্যা দুর্গত স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন রচনা (Rachna Banerjee)। কিন্তু সেখানে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান তিনি নিজেই। এদিন হুগলি গিয়ে রচনা (Rachna Banerjee) রীতিমতো এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন। রাজ্যের এই তারকা সংসদকে দেখতেই স্থানীয়রা রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন।
সেইসাথে নালিশ করে জানান, ‘বড় বড় নেতারা কেন জানে না, যে বস্তা দিলে থাকবে না। নিজেরা ইনকাম করেছে, আমাদের জন্য কিছু করেনি’। প্রসঙ্গত দক্ষ অভিনেত্রী রচনা (Rachna Banerjee) রাজনীতির ময়দানে একেবারে নতুন। তাই এমন দুর্যোগ মোকাবিলার পরিস্থিতিতেও আরও একবার বেফাঁস রচনা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই এদিন ফের একবার অন ক্যামেরা বেফাঁস মন্তব্য করে তিনি বলে বসেন ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল’!
যারএই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একবার তুমুল ট্রোলড হয়েছেন রচনা। গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সাধারণ মানুষ এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়ি ঘর কিচ্ছু নেই। সকলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওঁরা বলছেন নাকি জানিয়ে জল ছেড়েছেন। সত্যিটা কী আমাদের এই মুহূর্তে জানা নেই।’
আরও পড়ুন : দুম করেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আরও এক মেগা! ‘বঁধুয়া’র পর এবার কোপ পড়ল কোন সিরিয়ালে?
রচনার এই মন্তব্য এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার এপ্রসঙ্গে নাম না করেই রচনাকে খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি রচনার উদ্দেশ্যে একটি মজার মিম শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। সেখানে শুধু লেখা আছে, ‘এক কুইন্টাল সমান ১০০ কেজি। এমনি বললাম’।
প্রসঙ্গত জলের একককে কিউসেক, আর ভর পরিমাপের একককে বলে কুইন্টাল। আর এই পরিমাপই এদিন একেবারে ‘ঘেঁটে ঘ’ করলেন রচনা। কেউ কেউ আবার রচনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়লেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখার পোস্টের কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছে মন্তব্য। কেউ লিখেছেন, ‘জলে-ওলে’ আদর্শ সমীকরণ’। অপর একজন লেখেন, ‘রচু-নচু সংস্কৃতির জয়। জয় বিশ্ববাংলা’।