বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হিসেবে খ্যাত ভারতীয় রেল (Indian Railways)। দেশের প্রতিটি কোনাকে সংযুক্ত করেছে এই রেল। আর এবার সেই নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি আরও বাড়াতে চলেছে অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) রেল মন্ত্রণালয়। আগামী ৪-৫ বছরে প্রায় ৩০০০ অতিরিক্ত মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর কথা ভাবনাচিন্তা করেছে। এখন যেখানে ৮০০ কোটি যাত্রী ভ্রমণ করে আগামী পাঁচ বছরে তা পৌঁছে যাবে প্রায় ১০০০ কোটিতে।
বর্তমানে প্রায় ১০,৭৪৮ টি মেইল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলে ভারতে। যেখানে কোভিডের আগে ট্রেন চলাচল করত প্রায় ১০,১৮৬ টি। রেল সূত্রে খবর, আগামী দিনে ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ট্র্যাকের উপরেও কাজ করতে হবে। আগামী ২০২৭-২৮ এর মধ্যে ট্র্যাকের কাজ সম্পূর্ণ হলে ট্রেন নামানো হবে। রেল কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে সমস্ত যাত্রী যাতে কনফার্ম টিকিট তুলে দেওয়া।
রেল মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশে যাত্রীদের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে, আরও পুশ-পুল ট্রেন চালু করার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ রুটের ক্ষেত্রে পুশ-পুল ট্রেন ভ্রমণের সময় ২-৫ ঘন্টা কমাতে পারে।
আরও পড়ুন : দৈনিক রোজগার ১৫০ টাকা, ৬০ টাকার লটারির সৌজন্যে কোটিপতি বীরভূমের আচার বিক্রেতা
রেলমন্ত্রীঅশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, পরিবহণকারী আরও বন্দে ভারত ট্রেন, আধুনিক এলএইচবি কোচ এবং পুশ-পুল ট্রেন চালু করতে থাকবে। যে কারণে ৪-৫ হাজার কিলোমিটার নতুন ট্র্যাক স্থাপন করা হবে পাশাপাশি পরিচালনার বিষয়টাতেও আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে জানিয়েছে, রেল মন্ত্রণালয়। রেলমন্ত্রী জানাচ্ছেন, ‘আমাদের ফোকাস হল সামগ্রিক ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আরও ট্রেন চালানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’
আরও পড়ুন : স্ত্রীয়ের জন্মদিন ভুলে গেলেই হাজতবাস! এই দেশে চালু হল আজব নিয়ম, শুনলে চমকে উঠবেন
এইদিন তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে রেলওয়ে দ্বারা লোকো সহ আরও ট্রেনসেট (পুরো ট্রেন বা রেক) তৈরি করা হবে। যার মূল লক্ষ্য থাকবে আরো পুশ-পুল ট্রেন চালু করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লি-কলকাতা রুটে এই ধরণের ট্রেন শুরু করলে ভ্রমণের সময় ২-২.৫ ঘন্টা কমে যেতে পারে। অন্যদিকে দিল্লি-চেন্নাইয়ের মত দীর্ঘ রুটে ৫ ঘন্টা বাঁচানো যেতে পারে।