বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় রেল (Indian Railway) অবৈধ সফটওয়ার পর্দাফাঁস করে ৬০ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে, এই এজেন্টরা অবৈধ সফটওয়ার ব্যবহার করে রেলের টিকিট বুক করত। রেলের এই পদক্ষেপে এবার থেকে যাত্রীদের জন্য বেশি করে তৎকাল টিকিট পাওয়া যাবে। রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক মঙ্গলবার এই কথা জানান।
রেলওয়ে সুরক্ষা ফোর্স (আরপিএফ) এর মহানিরদেশক অরুণ কুমার বলেন, সাফাই অভিযানের অর্থ হল যাত্রীদের জন্য এবার থেকে বেশি সময়ের জন্য তৎকাল টিকিট উপলব্ধ থাকবে। এর আগে তৎকাল টিকিটের বুকিং খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট শেষ হয়ে যেত।
যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কলকাতার এক ব্যাক্তি আছে যার সাথে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন এর যোগাযোগ আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এবছরের জানুয়ারি মাসে মহানির্দেশক বলেছিলেন যে, ই-টিকিট এর দালালদের গোষ্ঠীর পর্দাফাঁস করা হয়েছে, সম্ভবত যাঁদের সুত্র জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা করা গোষ্ঠীদের সাথে সম্পর্ক আছে।
আধিকারিকরা মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ম্যাক আর জ্যাগুয়ার এর মতো অবৈধ সফটওয়ার আইআরসিটিসি (IRCTC) এর লগিন ক্যাপচা, বুকিং ক্যাপচা আর ব্যাংক ওটিপি বাইপাস করে, আর যাত্রীদের এই সমস্ত প্রক্রিয়া পালন করেই টিকিট কাটতে হয়। উনি জানান, সামান্য যাত্রীদের জন্য বুকিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে প্রায় তিন মিনিট সময় লেগে যায়, কিন্তু এমন সফটওয়ার ব্যবহার করে মাত্র দেড় মিনিটেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
রেলওয়ে এজেন্টদের তৎকাল টিকিট বুক করার অনুমতি দেয়না, আর বিগত দুই মাসে আরপিএফ প্রায় ৬০ জন অবৈধ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে, যারা এই সফটওয়ার ব্যবহার করে টিকিট বুক করত। আর এরজন্য সাধারণ যাত্রীদের কাছে তৎকাল টিকিট বুক করা সম্ভব হতনা।
অরুণ কুমার জানান, অবৈধ সফটওয়ার থেকে আর একটাও টিকিট বুক করা যাবেনা। উনি বলেন, আমরা আইআরসিটিসির সাথে জড়িত সমস্ত ইস্যু গুলোর সমাধান করে নিয়েছে। আর তাঁদেরও গ্রেফতার করেছি যারা এই সফটওয়ারের প্রধান অপারেটর ছিল।
উনি বলেন, এই গ্রেফতারির সাথে সাথে অধিকতম অবৈধ সফটওয়ার ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ওই সফটওয়ার গুলোর মাধ্যমে বছরে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হত। উনি বলেন, কলকাতায় আট ফেব্রুয়ারি আট জনকে গেফতার করা হয়েছে।