বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটি টিভি শো চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন দেওয়া এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে টিভি উপস্থাপক আমান চোপড়াকে গ্রেপ্তার করতে দিল্লি পৌঁছেছে রাজস্থান পুলিশের বিশেষ একটি দল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে শনিবারই তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশের ওই বিশেষ দলটি। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায়নি ওই সাংবাদিককে। এর আগেও গত ১ মে আমান চোপড়ার অফিসেও হাজির হয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেখানেও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
রাজস্থান পুলিশের এসপি সুধীর যোশি জানিয়েছেন, ‘আমাদের একটি দল নয়ডাতে অপেক্ষা করছে। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছি। গতকালই আমরা আমান চোপড়ার বাড়িতে যাই। কিন্তু কেউ ছিল না সেখানে। তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল বাড়িটি।’
বিগত এপ্রিল মাসে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে যখন তিনি আলওয়ার জেলায় একটি মন্দির ধ্বংসের ব্যাপারে একটি টিভি শোয়ের আয়োজন করেন। ২২ এপ্রিলের সেই টিভি শো চলাকালীন চোপড়া, বিজেপি শাসিত উত্তর দিল্লি মিউনিসিপালিটি দ্বারা জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় পরিচালিত ভাঙচুরের প্রতিশোধ হিসেবে রাজস্থান সরকারের দ্বারা মন্দিরটি ভাঙার কথা বলেন। বলাই বাহুল্য তাঁর সেই দাবি সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক ছিল। কারণ জাহাঙ্গিরপুরীতে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে ২০ এপ্রিল এবং মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ১৭ এপ্রিল।
এই ঘটনার পরই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ (দেশদ্রোহ), ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত), ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় মামলা রজু হয়েছে।