বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য রোজ সামনে আনছেন তদন্তকারীরা। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, শাসকদলের বহু দুঁদে নেতা, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলবন্দি রয়েছেন ‘ফেমাস’ কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। কাকুকে নিয়েই এবার আরও মারাত্মক দাবি ইডির।
বাজার ছাড়া দামে মার্লিন গ্রুপকে জানলা বিক্রি করার অভিযোগ সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে। যোগসূত্র পেতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় মার্লিন গ্রুপের কর্তা। সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুশীল মোহতাকে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)।
সময় মতোই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির মার্লিন গ্রুপের কর্তা। জানা গিয়েছে তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেন বাড়তি দামে সুজয়কৃষ্ণর সংস্থা থেকে জানলা কিনেছেন এই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানেই তলব করা হয় সুশীলবাবুকে।
আরও পড়ুন: ফের অ্যাকশনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এবার আরও একটি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ
ইডির অভিযোগ, সুজয়কৃষ্ণর নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা SD কন্সালটেন্সির দফতরে একাধিক বৈঠকে বসেছেন মার্লিন গ্রুপের কর্তারা। কাকুর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সুশীল মোহতার সংস্থা মার্লিন গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্পে বাজারের থেকে কয়েক গুণ দামে অ্যালুমিনিয়ামের জানলা সরবরাহ করত সুজয়কৃষ্ণর সংস্থা। গোয়েন্দাদের অনুমান, সুজয়কৃষ্ণের দুর্নীতির কালো টাকা মার্লিন গ্রুপেও বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কালীঘাটের কাকু’র জীবনে শোকের ছায়া! হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সুজয়কৃষ্ণর স্ত্রী
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করার পরই তার সূত্র ধরে মার্লিন গ্রুপের দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। যদিও সেই ফোন এখনও আনলক করতে পারেনি ইডি। সেই ফোন নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ হয় বলে জানা গিয়েছে।