বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ্যই ঘনীভূত হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) রহস্য। যত দিন যাচ্ছে ততই অভিযুক্তদের তালিকায় জুড়ছে নিত্যনতুন নাম। দিন দিন লম্বা হচ্ছে সেই তালিকা। শাসকদলের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রোমোটার, ইঞ্জিনিয়ার, অভিনেতা-অভিনেত্রী। বাদ নেই কেউই। এবার আরও এক নতুন নাম উঠে এল বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, নীলাদ্রি দাস (Niladri Das)।
কে এই নীলাদ্রি? গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট এই নীলাদ্রি দাস। বরানগরের বাসিন্দা তিনি। আজ থেকে ৪ বছর আগে ২০১৯ সালে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির (CID) হাতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাকরি প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও গ্রেফতার হওয়ার কিছু সময় পর হাইকোর্টে জামিন পেয়ে যান নীলাদ্রি।
সূত্র মারফত খবর, সেই সময় রাজ্যের কোনো এক ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তির কথাতেই হটাৎ সেই দুর্নীতির তদন্ত স্থগিত করতে হয় সিআইডিকে। তবে এবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ফের উঠে এল সেই নীলাদ্রির নাম। তদন্তকারীদের ধারণা শিক্ষক কেলেঙ্কারির ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মূল মাথা এই নীলাদ্রিকে।
শুধু তাই নয় সূত্রের দাবি, গত ২ দিন ধরে বরানগরের নীলাদ্রিকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে ও মোবাইল তল্লাশি করে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে এসেছে। যা চলতে থাকা তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তদন্তকারী সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নীলাদ্রির কাছে নিজেদের সুপারিশ পাঠাতেন।
এরপর নীলাদ্রি সেই সুপারিশগুলি মেসেজ করে নাইসা-র কর্মীদের পাঠাতেন। তারপর সেই নির্দেশ মতোই সেখানের কর্মীরা সার্ভারে থাকা নম্বর পাল্টে ফেলতেন। গোটা দুর্নীতির পক্রিয়া এমনভাবেই চলত বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখন এই নীলাদ্রির সূত্র ধরে তদন্ত কোন নয়া মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।