বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজ রোজ নতুন মোড় নিচ্ছে বঙ্গের নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা, দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীর পর সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এসেছে আরেক রহস্যময়ীর নারীর নাম। সোমা চক্রবর্তী! হুগলীর বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে কলকাতার এক অভিজাত বিউটি পার্লারের মালকিন এই সোমার (Soma Chakraborty) নাম সামনে আসে। নেতার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায় ২০২০ সালে এই সোমাকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সোমা। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন খোদ সোমাও। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন কুন্তলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তার। সেই খাতিরেই কোনো চুক্তিপত্র ছাড়াই ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, সল্টলেকের অভিজাত এক মলের সোমার নেল পার্লার, নেল লাউঞ্জ অ্যাট সিসি। নখের সজ্জার পাশাপাশি সেখানে চোখের পাতা সাজিয়ে দেওয়া হয়। সোমার বিলাসবহুল পার্লারে গ্রাহকেরা নখসজ্জার পাশাপাশি ভিআইপি যত্নআত্তি পান। নিজের এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছিলেন খোদ সোমাই। পার্লার করেই জীবন চালান তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে তার পার্লারের কর্মীর মুখেই ভিন্ন সুর।
সংবাদমাধ্যম সোমার পার্লারে যোগাযোগ করলে সেখানের কর্মীরা সাফ জানান, কখনও এই পার্লারে আসেনই না মালকিন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সোমার পার্লারে কাজ করছেন এক কর্মী। তার কথায়, ‘‘উনি কখনওই আসেননি। মাসে দু’-তিনবার ফোনেই পার্লারের হিসাবনিকাশ বুঝে নেন।” এখানেই উঠছে প্রশ্ন। যেখানে পেশার কথা বলতে গিয়ে বারবার নিজের পার্লারের কথা উল্লেখ করেছেন সোমা সেখানে নাকি কখনও যানই না তিনি। কিন্তু তাহলে বাড়িতে বসেই বা কী করেন তিনি? কর্মীদের নিয়োগই বা করা হল কী করে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।
দিন দুয়েক আগে সোমা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সল্টলেক সেক্টর ২ ওনার স্যালোঁ রয়েছে। এক মেয়েও রয়েছে সোমার। বহু কষ্ট করে নিজের এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সোমার এই কঠোর পরিশ্রম দেখেই তাকে ৫০ লক্ষ টাকা দেন কুন্তল। তবে যেই পার্লার নিয়ে এত হাকডাক সোমার, সেখানেই কখনও যান না তিনি? কেন! প্রশ্ন উঠছে তবে এসবের উত্তর একমাত্র দিতে পারবেন সোমা নিজেই।