বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় নির্দেশ দিল RBI (Reserve Bank Of India)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে ব্যাঙ্কগুলির উদ্দেশ্যে একতরফাভাবে কোনও ব্যক্তিকে শুনানি ছাড়াই “ফ্রড” ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। RBI বলেছে যে ব্যাঙ্কগুলিকে ডিফল্টারদের ২১ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া উচিত। যাতে তাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্টটিকে “ফ্রড” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার আগে তাঁদের মামলা উপস্থাপনের সুযোগ পান। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ৬ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতির জন্য তথ্য দিতে হবে CBI-কে। পাশাপাশি, ১ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতির জন্য জানাতে হবে রাজ্য পুলিশকে।
বড় নির্দেশ দিল RBI (Reserve Bank Of India):
এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত বছরের সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তার নির্দেশিকা সংশোধন করেছে। RBI (Reserve Bank Of India) ব্যাঙ্কগুলিকে ফ্রড রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে একটি বোর্ড-অনুমোদিত নীতি প্রয়োগ করতে বলেছে। যা বোর্ডের দায়িত্বগুলিকে নির্দিষ্ট করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, “প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিগুলিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেনে চলা নিশ্চিত করার ব্যবস্থাগুলিও এই নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank Of India) মতে, “জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা উচিত। যার মধ্যে একজন ফুল টাইম ডাইরেক্টর এবং অন্তত দু’জন স্বাধীন অথবা নন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে।” RBI ব্যাঙ্কগুলিকে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্টের আদেশগুলি পর্যালোচনা করতে বলেছে। যাতে তারা ব্যক্তি বা সংস্থাগুলিকে “ফ্রড” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার আগে এবং যুক্তিযুক্ত আদেশ জারি করার আগে তাদের জানাতে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দেয়।
ব্যবস্থার উন্নতি দরকার: উল্লেখ্য যে, নতুন নিয়মগুলির জন্য ৬ মাসের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে প্রারম্ভিক সতর্কতা সংকেত (EWS) সিস্টেমের উন্নতি প্রয়োজন। EWS গুলিকে সিস্টেমের সাথে একত্র করতে হবে এবং প্যারামেট্রিক সংকেত ছাড়াও অস্বাভাবিক নিদর্শনগুলি সনাক্ত করতে ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুলে যাবেন চাকরির চিন্তা! এই ব্যবসা শুরু করলেই রাতারাতি হবেন মালামাল
১ কোটি টাকার ওপরে জালিয়াতির বিষয়ে পুলিশকে জানাতে হবে: এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) ১ কোটি টাকার সীমা নির্ধারণ করেছে। এই পরিমাণ অর্থের ওপর জালিয়াতি হলে ব্যাঙ্কগুলিকে রাজ্য পুলিশকে জালিয়াতির ঘটনা জানাতে হবে। প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলিকে ১ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতির অভিযোগ জানাতে হবে সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে।
আরও পড়ুন: মহাকাশে ডিম পাহারা দিচ্ছে আস্ত পেঙ্গুইন! ছবি ধরা পড়তেই হুঁশ উড়ল NASA-র বিজ্ঞানীদের
৬ কোটি টাকার ওপরে জালিয়াতির বিষয়ে CBI-কে জানাতে হবে: অপরদিকে, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির জন্য, CBI-কে জালিয়াতির রিপোর্ট করার জন্য ৬ কোটি টাকার সীমা অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রে RBI (Reserve Bank Of India) জানিয়েছে যে, “কনসোর্টিয়াম ঋণের ক্ষেত্রে, যদি প্রত্যেকের ক্ষেত্রে পৃথক অপরাধ সংঘটিত হয় এবং যদি প্রতারণাটি একই প্রতারণামূলক কাজ/লেনদেনের অংশ না হয়, তাহলে প্রতিটি কনসোর্টিয়াম সদস্য পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করতে পারে, এদিকে, এই ধরণের ঋণের অন্যান্য ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র একজন সদস্য অভিযোগ দায়ের করতে পারেন এবং অন্য সকল সদস্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে পারেন।