বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন, অন্যদিকে আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা। এই আবহে এবার আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ ডাক্তার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকল নবান্ন (Nabanna)। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে এই খবর। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরজি করের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠাল নবান্ন (Nabanna)
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। একটানা কর্মবিরতির পর জরুরি পরিষেবায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ফের পরিস্থিতির বদল! আবারও পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেও আমরণ অনশনে বসেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। পরে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতো।
প্রায় তিন দিন হতে চলল জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মতলায় অনশন করছেন। তবে এখনও অবধি সরকারের তরফ থেকে আলোচনার জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেষ আজ সকালে বৈঠকের পর আরজি করের একাধিক সিনিয়র চিকিৎসক (Senior Doctors) গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুনঃ ফরেন্সিক পরীক্ষায় মিলে গেল ‘সব’? চার্জশিটে বিস্ফোরক CBI, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কী জানাল?
এরপর জানা গেল, আরজি করের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষকে নবান্নে (Nabanna) ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে। এদিকে আজই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে নবান্নের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। রাজ্যের তরফ থেকে যে যে কাজগুলি তাদের করতে বলা হয়েছিল, সেগুলি কতখানি এগিয়েছে সেটা জানতেই এই বৈঠক হতো বলে খবর।
জেলা হাসপাতালগুলির সকল প্রধান এবং উচ্চপদস্থ কর্তাদের এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বলে খবর। তাঁদের ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এবার সেখানে নতুন করে আরজি করের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষের নবান্নে (Nabanna) ডাক পড়ল বলে খবর। জানা যাচ্ছে, আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম ‘মুখ’ কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘আমরা অনশন করছি, আমাদের সিনিয়ররা ইস্তফা দিচ্ছেন। এমন সময়ে নবান্নে আমাদের অধ্যক্ষের ডাক পড়ল কেন আমরা জানি না’।