বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৮ আগস্টের অভিশপ্ত রাত! আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) সেদিন নাইট ডিউটিতে ছিলেন কাদম্বিনী (নাম পরিবর্তিত)। সেদিন রাতেই তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ। দু’চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ওই তরুণী চিকিৎসক। এবার তাঁর বাবা জানালেন, মেয়ের আর এক স্বপ্নের কথা।
গোল্ড মেডেলিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আরজি করের (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসক
ছোট থেকেই পড়াশোনায় তুখোড়। বড় হয়ে স্বপ্ন দেখতেন ডাক্তার হওয়ার। প্রয়াত চিকিৎসকের বাবা জানান, ছোট থেকেই মেয়ের বইয়ের প্রতি দারুণ ঝোঁক ছিল। দিনে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেই কাটতো তাঁর। বছরের পর বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মা-বাবার প্রচুর আত্মত্যাগের পর চিকিৎসক হয় কাদম্বিনী। তবে ৮ আগস্টের রাতে আচমকাই সব শেষ!
নিহত চিকিৎসকের বাবা জানান, অভিশপ্ত নাইট ডিউটির (RG Kar Hospital) আগে ডায়েরির পাতায় একরাশ স্বপ্নের কথা লিখে গিয়েছিল মেয়ে। সেখানে লেখা ছিল, গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম হতে চাই। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হওয়ার আগেই ছারখার হয়ে গেল সব। সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাঁর বাবা-মা।
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়ারা পাবে ১০,০০০ টাকা! দুর্দান্ত উদ্যোগ রাজ্য সরকারের, কীভাবে আবেদন করতে হবে?
উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরের নাটাগড়ে থাকতেন ওই তরুণী চিকিৎসক। মধ্যবিত্ত পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন। শোনা যায়, বরাবর শান্ত এবং মিশুকে স্বভাবের ছিলেন কাদম্বিনী। আজ তাঁর মৃত্যুতে গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে।
দু’চোখে জল নিয়ে নিহত চিকিৎসকের (RG Kar Incident) বাবা বলেন, ‘মেয়েকে আর ফিরে পাব না। তবে গোটা দেশে যেভাবে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে সুবিচারের জন্য লড়াই করার সাহস পাচ্ছি’। তিনি জানান, আইনের ওপর আস্থা রয়েছে তাঁর। নিশ্চয়ই সুবিচার পাবেন, আশা করছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায়, ‘দোষীদের কঠিন শাস্তিই একমাত্র আমাদের মনের জ্বালা জোড়াতে পারে, আর কিছুই নয়’।