বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড়সড় ফাঁড়া থেকে মুক্তি পেলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) পরিবার। শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে গিয়েছে তাঁর বাড়িতে। অসাবধানতায় ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারত। তবে আগুন আয়ত্তে আনা গিয়েছে। সুরক্ষিত রয়েছেন গায়ক সহ তাঁর পরিবারও।
একটি বহুতল আবাসনে থাকেন রূপঙ্কর। শনিবার রাত আটটা নাগাদ তাঁদের রান্নাঘরের কিচেন চিমনি ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। নিমেষে মডিউলার কিচেন চলে যায় আগুনের গ্রাসে। নিজেদের সুরক্ষিত করে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় সেযাত্রা আগুন থেকে রক্ষা পান গায়কের পরিবার।
সংবাদ মাধ্যমকে রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালি জানিয়েছেন, তাঁদের দুটি রান্নাঘর রয়েছে। একটি পুরনো ধরনের, সেখানে নিয়মিত রান্নার লোক রান্নাবান্না করেন। আর অন্যটি আধুনিক মডিউলার কিচেন। এই রান্নাঘরেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে রান্নার দিদি আসছেন না বলে জানান চৈতালি। তাই তাঁদের মেয়ে ঠিক করেন, সেদিন রাতে একটি বিশেষ পদ রাঁধবেন।
আধুনিক রান্নাঘরে চিমনি অন করে তিনি রান্নার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। চৈতালি জানান, চিমনিটি বহুদিন ধরে অব্যবহৃত ছিল। যখন সেটা চালানো হয় তখন চলেনি। উপরন্তু পাখি বাসাও বেঁধেছিল চিমনিতে। সেটা কেউই জানতেন না তাঁরা।
ফলতঃ চিমনির মোটর শুরু হওয়ার পরেই বিষ্ফোরণ হয়। চিমনিতে পাখির বাসাতেও আগুন লেগে ঘর ভর্তি হয়ে যায় খড়কুটোতে।
মডিউলার কিচেনের কাঠের তাকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। হতভম্ব ভাব কাটিয়ে মেয়ে আর পোষ্যকে আগে সুরক্ষিত করেন চৈতালি। বুদ্ধি করে বৈদ্যুতিক আলোও অফ করে দেন। রূপঙ্কর জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা নেভেনি।
শেষে আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে সেই ভয়াবহ আগুন নেভান। স্বস্তির ব্যাপার যে রূপঙ্কর সহ তাঁর গোটা পরিবারই সুরক্ষিত। আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদেরও সাবধান করে দিয়েছিলেন তাঁরা আগেভাগে। রবিবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগুনের আতঙ্ক এখনো কাটেনি কারোরই।
চৈতালি জানান, এর আগেও তাঁদের বাড়িতে এমন আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সেবার আগুন লেগেছিল এসি মেশিনে। চিমনিতে আগুন লাগার ঘটনার পর সকলকেই সাবধান করেছেন গায়কের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।