বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের খানদের মধ্যে সইফ আলি খান (saif ali khan) অন্যতম। অভিনেতা ছাড়াও তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে, তা হল তিনি পতৌদি রাজপরিবারের সন্তান। তাঁর শরীরে বইছে রাজরক্ত। কিন্তু রাজপরিবারের সন্তান হলেও সবকিছু জন্মসূত্রে পাননি তিনি। এমনকি ঐতিহ্যের পতৌদি প্রাসাদটিও জন্মসূত্রে পাননি তিনি। বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচা করে তাঁকে এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে হয়েছে। নিজেই এমনটা জানান সইফ।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘মানুষের সব বিষয়ে একটা নির্দিষ্ট ধারনা থাকে। আমার বাবার মৃত্যুর সময় পতৌদি প্রাসাদ নীমরানা হোটেল চেনের কাছে লিজ দেওয়া ছিল। অমন নাথ ও ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং সেই হোটেল চালাতেন। ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর আমার কাছে জানতে চাওয়া হয় পতৌদি প্রাসাদ আমি ফেরত চাই কি না? পরিবর্তে আমার কাছে একটা বড়সড় অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়। সেটা আমাকে দিতে হয়।’
জানা যায়, অমন নাথ ও ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং হোটেল ব্যবসার জন্য মনসুর আলি খানের থেকে পতৌদি প্রাসাদ লিজে নিয়েছিলেন। তাঁরা যৌথভাবে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হোটেল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন এই প্রাসাদকে। তারপর সেটি সইফের জিম্মায় আসে।
অভিনেতা আরও বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে যেটা আমার পাওয়ার কথা ছিল সেটা আমাকে নিজের টাকায় কিনতে হয়েছে। আমাদের পরিবারের রীতি অনুযায়ী অতীতকে ভুলে বাঁচা যায় না। ওই প্রাসাদের সঙ্গে আমার অনেক সুখ দুঃখের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’ হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত পতৌদি প্রাসাদ। এর বর্তমান মূল্য ৮০০ কোটি টাকা। বহু জনপ্রিয় ছবির শুটিং হয়েছে এই প্রাসাদে।