ভাইজানের হাতে নীল পাথর খচিত ব্রেসলেটের কথা সালমান অনুরাগীদের অজানা নয়। ভাইজানের অনুরাগীদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় এই ব্রেসলেট। সলমন খান (salman khan) তার এক সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবাও এইরকম ব্রেসলেট পড়তেন। পরবর্তীতে তার বাবাই তাকে একই রকম দেখতে ব্রেসলেটটি উপহার দেন। ওই ব্রেসলেট এর উপরে যে পাথর লাগানো রয়েছে তার নাম ফিরোজ।
এই পাথর জীবনে আসা সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে দূরে সরিয়ে দেয়। পাথর তার সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের দিকে টেনে নেয় বিপদকে। বিপদ মুক্ত হওয়ার পর পাল্টে ফেলতে হয় পাথরকে। নিজের হাতের ব্রেসলেটের ঐ নীল পাথর সাতবার পাল্টে ফেলেছেন সালমান খান।
সম্প্রতি, নিজের জন্মদিনের আগে সাপের কামড় খান ভাইজান। বিষাক্ত না হওয়ায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। ভাইজানের বিশ্বাস, অতীতেও বারবার নিজের জীবনে আসা বাধা-বিপত্তিকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন ওই পাথরটির জন্যই।তিনি আরো বিশ্বাস করেন তার জীবনের যা কিছু ভালো, যা কিছু সুন্দর সবকিছুই হয়েছে ওই পাথরের শক্তির জন্য। তাই ওই ব্রেসলেটটিকে কখনোই হাতছাড়া করেন না ভাইজান।এই ব্রেসলেট তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন তিনি।
একবার পানভেলের ফার্ম হাউসে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সময় হারিয়ে গিয়েছিল তার এই ব্রেসলেটটি। সেসময় সলমানের অবস্থা এমন হয় যে তিনি হয়তো নিজের জীবনটাকেই হারিয়ে ফেলেছেন। সেই মুহূর্তে তাকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় দেখে তার বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে সেই ব্রেসলেটের। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সলমানের প্রাণের চেয়ে প্রিয় ব্রেসলেটটিকে সুইমিং পুলের জল থেকে খুঁজে দেন তার বন্ধু অস্মিতা প্যাটেল। সেটি খুঁজে পেয়ে যেন প্রাণ হাতে পেয়েছিলেন ভাইজান।