বাংলাহান্ট ডেস্ক : চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। আর এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরকে। কংগ্রেস নেতার মুখে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা কার্যতই একাধিক জল্পনার সৃষ্টি করছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার জয়পুর সাহিত্য মেলায় যোগ দেন শশী থারুর। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর তুমুল প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোদী প্রচন্ড কর্মক্ষম একজন মানুষ। সবসময় সক্রিয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছেন তিনি। যার ফল পাচ্ছে বিজেপি। আমরা কেউ ভাবিনি এত বিরাট ব্যবধানে বিজেপি জিতবে। কিন্তু তিনি সেটা করে দেখিয়েছেন।’
যদিও প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই কংগ্রেস নেতা। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে আমাদের সমাজ বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতের জন্য সত্যিই খারাপ। এই বিষ্যটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের হারের সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বুথ ফেরত সমীক্ষা করার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল বিজেপিকে কড়া টক্কর দেবে সমাজবাদী পার্টি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেটা হয়নি। তাঁর উপর হারের দায় চাপানো উচিত নয়। কংগ্রেসের এই অবস্থার জন্য কোনও একজন দায়ি নয়। বহু রাজ্যে গত ৩০ বছরের মধ্যে কংগ্রেসের উপস্থিতি সর্বনিম্ন।’ যদিও তিনি এও বলেন যে, ‘এখন বিজেপি যাই চাইছে মানুষ তাই দিচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি বেশিদিন টিকবে না। ভোটাররা বিজেপিকেও চমক দেবে একদিন। এদিন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত মনের সঙ্গেও নিজের একটি সেলফি ট্যুইটারে পোস্ট করেন তিনি। সেখানে পাঞ্জাবের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেই দেখা গেছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই জয়ের পর কি তবে বিজেপিতে পা রাখার কথাই ভাবছেন এই কংগ্রেস সাংসদ? নাকি তাঁর এই প্রশংসা নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্য? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে। যদিও অনেকেরই মত, বিজেপিতে যোগ দানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু ব্যাপারটিতে খানিক রাখঢাক বজায় রাখতেই তাঁর বাকি এসকল সক্রিয়তা।