বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা বাংলাদেশ (bangladesh) জুড়েই। প্রতিমা ভাঙচুর থেকে শুরু করে, একাধিক দুর্গাপুজো মণ্ডপে হামলা এবং ইস্কনে উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারতীয়রাও। তবে বাংলাদেশের এই সকল হিংসার ঘটনাকে সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
অষ্টমী পুজো থেকে শুরু হয়েছে। প্রথমে কুমিল্লার এক মন্ডপের প্রতিমা ভাঙচুর করা, তারপর থেকে এক এক করে বেশ কয়েকটি জায়গার মাতৃ প্রতিমা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। তারউপর আবার শোনা যায় নোয়াখালিতে ইস্কনের মন্দিরে হামলার কারণে, দুস্কৃতীদের হাতে প্রাণ হারান এক ভক্ত। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার কলকাতা-স্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন ইস্কনের সদস্যরা।
এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, ‘উপমহাদেশে ধর্ম ও সম্প্রদায় খুব সংবেদনশীল ব্যাপার বলে আমি মনে করি। সব দেশেরই কর্তব্য তাঁদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করব না। তবে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জামানায় কর্তব্য ব্যাহত হলেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সমস্ত ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আর কারো প্ররোচনায় তা ভাঙলে, প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে পুজোর মরশুম চলছে। দুর্গাপুজো মিটে গেলেও, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী এখনও আসছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি মেনে শান্তভাবে আনন্দ করা উচিৎ। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা উচিৎ নয়’।
শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পালটা দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, ‘ওনার মত প্রতিভাবান নাট্যকারের রাজনৈতিক সচেতনতা সম্পর্কে মানুষ যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ওনার প্রতিভাকে সম্মান জানিয়েই জিজ্ঞেস করছি, ঢাকার মাটিতে দাঁড়িয়ে কোনও নাট্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে কেন পারেননি ওনার পূর্বপুরুষরা? কেন ওদেশ থেকে চলে এসেছিলেন? তাঁর তখন ধর্ম বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন। আর আজ উনি সর্বধর্ম সমন্বয়, সংখ্যালঘু নিরাপত্তার কথা বলছেন। ওনার মত বুদ্ধিজীবীরাই তো বাংলার সর্বনাশ ডেকে আনছেন। ভারতবর্ষে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা একদমই বিঘ্নিত হয়নি’।