বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) হাথরস কাণ্ডে সরগরম রাজনৈতিক মহল। ১৯ বছরের তরুণীর উপর গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে নেমছে গোটা দেশ। যোগী সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উঠছে নানান অভিযোগ। কংগ্রেসের পর এবার শিবসেনা (shivsena) যোগী সরকারের বিরোধীতায় সরব হয়েছে।
শিবসেনার কটাক্ষ
কংগ্রেসের পর এবার শিবসেনা যোগী সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামানা’তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) আক্রমণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজো করেছেন ঠিকই, কিন্তু উত্তর প্রদেশ আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে ‘রামরাজ্য’ নয়, ‘জঙ্গলরাজ’-এ পরিণত হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের আগুন নিভতে না নিভতেই বলরামপুরে আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে শিবসেনা প্রশ্ন তোলে, যদি মেয়েটির ধর্ষণ না হয়ে থাকে, তাহলে কেন পুলিশ রাতের অন্ধকারে পরিবারের অসম্মতিতে মেয়েটিকে দাহ করে দিল? কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, কেন তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল?
দোষীদের শাস্তি দিতে হাল ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। এবার এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে মাঠে নামল যোগী সরকার। পুলিশ সুপার, তৎকালীন এখতিয়ার এবং ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সহ বেশ কয়েকজন দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীকে এই মামলায় অবহেলা করার কারণে বরখাস্তও করা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে করা হবে নারকো টেস্ট
এবার এই ঘটনায় তদন্তের কারণে নারকো টেস্ট (Narco test) করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পূর্বেই এই ঘটনায় গাফিলতির কারণে এসপি বিক্রম বীর, ডিএসপি রাম শব্দ, পরিদর্শক দীনেশ কুমার ভার্মা, উপ-পরিদর্শক জগবীর সিং এবং প্রধান মুরার মহেশ পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জাআনো হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে।