বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ কৌশিকি অমাবস্যা (koushiki omabashya), এই বিশেষ দিনটিতে লাখো লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে সিদ্ধপীঠ তারাপীঠের (tarapith)মন্দিরে। কথিত আছে আজকের এই বিশেষ তিথিতে তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় বসে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। এই কারনে এই অমাবস্যাকে তারা রাত্রিও বলা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নি এই দিনের মাহাত্ম্য
পুরানে বলা হয়, কৌশিকী রূপ নিয়েই প্রচন্ড অসুর শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন মা তারা। তন্ত্র মতেও এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এই দিনে যিনি সাধনা করেন তার সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। যারা সাধনার কঠিন মার্গ অনুসরণ করতে অপারক তারাও যদি এই দিনে মায়ের পুজো করে তবে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি মেলে।
পুরাণ কাহিনীতে বলা হয়, প্রচন্ড অসুর শুম্ভ নিশুম্ভ ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে বর পান কোনো পুরুষের হাতে তাদের মৃত্যু ঘটবে না। আবার মাতৃগর্ভজাত কোনো নারীও তাকে মারতে পারবে না। তাদের মৃত্যু একমাত্র এমন কোনো নারীর হাতে যার মায়ের গর্ভে জন্ম হয় নি। এই বর পেয়ে শুম্ভ নিশুম্ভ অত্যাচার বাড়িয়ে দিলে ভয়ে দেবতারা ভগবান শিবের কৈলাশে আশ্রয় নেন। শিব তখন দেবী পার্বতীর কাছে সাহায্য চান। কিন্তু পার্বতীকে কালী বলে সম্মোধন করায় দেবী রুষ্ট হন।
প্রসঙ্গত, দক্ষযজ্ঞের আগুনে প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কারনে দেবীর গায়ের রং কালো হয়ে গিয়েছিল। শিব কালো সম্মোধন করায় দেবী তপস্যা শুরু করেন। তপস্যার পর মানস সরোবরে স্নান করে দেবী গৌর গাত্রবর্ণ ধারণ করেন। আর সেই কালো কৌশিকী থেকে জন্ম নেন ঘোর কৃষ্ণবর্ণা দেবী কৌশিকীর। তিনিই শুম্ভ নিশুম্ভকে হত্যা করেন। তার নাম অনুসারেই এই তিথির নামকরণ।