বাংলা হান্ট ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের কালো মেঘ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণবঙ্গে আবার ফিরে এসেছে প্রচন্ড গরম। সূর্যদেবের তাপে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় বঙ্গবাসীর। তাই এই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রেহাই পেতেই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে পাহাড় মুখি বাঙালি। তাই দুধ সাদা বরফের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশিই এখন সবাই ছুটে যাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী সিকিমে (Sikkim)।
কিন্তু সমতলের গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে যে সমস্ত পর্যটক সিকিম গিয়েছিলেন এখন তাঁরা সকলেই ফেঁসে গিয়েছেন। কারণ বিগত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ সহ সিকিম। মুষলধারে বৃষ্টির জন্য জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে সিকিমের। পরপর ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। সেই সমস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বার করা হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ।
সেই সাথে নিখোঁজ এলাকার বহু বাসিন্দা। ঘুরতে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সিকিমে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। এই মুহূর্তে স্থানীয় প্রশাসনের তরফের জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সমস্ত ভাঙা বাড়ির নিচেই চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। এরইমধ্যে খারাপ খবর শোনালো সিকিম প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! মিলবে আরও বেশি পেনশন, NPS নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট
সিংতামে টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামার পর এই মুহূর্তে গোটা এলাকা জুড়ে চলছে উদ্ধারকাজ। এরইমধ্যে প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। জাতীয় সড়কের দুই ধারে গাড়ির লম্বা লাইনের ফলে পর্যটকেরা কী ভাবে যাবেন বা আসবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।
জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাংলা সিকিম সংযোগ স্থাপনকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যদিও কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্য়ম জানিয়েছেন, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বাংলার দিক থেকে খোলা রয়েছে।