আজ হায়দ্রাবাদের ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের সাজা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ। ৪ জন ধর্ষণকারীকে পুলিশ এনকাউন্টার করে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। ডঃ রেড্ডিকে যে স্থানে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ঠিক সেই স্থানেই পুলিশ ধর্ষণকারীদের এনকাউন্টার করেছে। ঘটনাস্থলে এখন প্রচুর পরিমানে পুলিশ বাহিনী ও অফিসাররা পৌঁছেছে। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় জনগণ পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় এবং খুশিতে আতশবাজি ফাটায়। এনকাউন্টারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী হায়দরাবাদ পুলিশের প্রশংসা করেন।
তবে বহুজন এই এনকাউন্টার কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। যার মধ্যে সিপিএম এর নেতা সীতারাম ইয়েচুরি রয়েছেন। সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) বলেছেন এই এনকাউন্টার করা সঠিক হয়নি। এটা সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন প্রতিহিংসা কখনোই ন্যায়প্রদান করা হতে পারে না। ইয়েচুরি বলেন এটা সভ্য সমাজের কাজ নয়। এইভাবে সমস্যার সমাধান হলে তা সুরক্ষার উপর প্রশ্ন তুলবে।
বামপন্থী সিপিএমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বিচারহীন হত্যাকাণ্ড নারীদের নিয়ে আমাদের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হতে পারে না। তিনি বলেন যে প্রতিশোধ কখনই ন্যায়বিচার হতে পারে না। এর সাথে তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভার গণধর্ষণ মামলার পরেও আমরা কেন কঠোর আইন প্রয়োগ করতে পারছি না।
অন্যদিকে পুলিশের এমন কার্যকলাপের পর দেশের জনগণ বেশ দারুনভাবে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশের মানুষ হায়দ্রাবাদ পুলিশকে অভিনন্দন জানাতে কোনো রকম পিছুপা হয়নি। স্থানীয় মানুষজন হায়দ্রাবাদ পুলিশকে সম্বোধন করে শ্লোগানবাজি করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার উপর প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর দিলেও অধিকাংশ মানুষ খুশি ব্যাক্ত করেছেন। এমনকি ডঃ রেড্ডির পরিবারের তরফ থেকেও এই এনকাউন্টারকে সমর্থন করা হয়েছে। ডঃ রেড্ডির পরিবার বলেছেন এই এনকাউন্টার তাদের মেয়ের আত্মাকে শান্তি দেবে।