বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ভোরে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ( Sonamukhi) থানার ফকিরবাঁধ জঙ্গলে হটাৎ আগুন (Fire) দেখে ছুটে যায় স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি বাঁকুড়ার পাঁচাল ছান্দার মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরের এক জঙ্গলের ভিতরে। অগ্নিকান্ড দেখে তড়িঘড়ি গিয়ে লোকজন দেখেন একটি চারচাকা গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর দগ্ধ সেই গাড়ি থেকে একটি পোড়া দেহও উদ্ধার হয়েছে । ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গাড়িটি চিহ্নিত করা গেলেও পুড়ে যাওয়া কঙ্কালটি চিহ্নিত করা যায়নি। ফরেন্সিক দলকে খবর পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানতে তদন্ত চলছে।’’
এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার ফকিরবাঁধ জঙ্গলে পাঁচাল ছান্দার মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে জঙ্গলের ভিতরে একটি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। ওদিন ভোরে হটাৎ সেই পোল্ট্রি ফার্মের কয়েকজন কর্মী জঙ্গলের রাস্তায় একটি গাড়ি জ্বলছে বলে দেখতে পান, এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারাই খবর দেন সোনামুখী থানায়। পুলিশ পৌঁছায় ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে বেশ খানিকটা দেরী হয়ে যায়। পুলিশ পৌঁছে দেখে ততক্ষণে গাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গাড়িটির ভিতরে পড়ে রয়েছে আধপোড়া দেহ। যদিও দেহ তখন কঙ্কালের রূপ ধারণ করেছে।
পরে জানা যায়, গাড়িটি চালাতেন পাঁচাল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় সাইনি। পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হলেও কঙ্কালটিকে শনাক্ত করা যায়নি। অন্য দিকে, ধনঞ্জয়ের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় তারও কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না ।
ধনঞ্জয়ের এক আত্মীয় সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় আমরা এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। তার পর ভাড়া আছে বলে ধনঞ্জয় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। কোথায় ভাড়া আছে, সে সম্পর্কে আমরা কিছু জানতাম না। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি, ওর গাড়িটি পোড়ানো হয়েছে। কিন্তু ভিতরে কঙ্কাল দেখে বোঝার উপায় নেই ওটি কার। আমাদের ধারণা, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া থানার পুলিশ। অপরদিকে ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।