বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-এর পরীক্ষায় পাশ করার জন্য প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশোনা করেন অসংখ্য যুবক-যুবতী। তাদের মধ্য থেকে খুব অল্প সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করেন ইউপিএসসি পরীক্ষায়। ইউপিএসসিকে দেশের সব থেকে কঠিনতম পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
তবে সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করলে অনেকেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন। বঙ্গতনয়া স্মিতা সবরওয়াল মাত্র ২২ বছর বয়সে ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। প্রথমবারের চেষ্টাতেই স্মিতা উত্তীর্ণ হয়েছেন ইউপিএসসি। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি? সেকেন্দ্রাবাদের সেন্ট অ্যান্স স্কুলে পড়াশোনা দার্জিলিং এ জন্ম নেওয়া বঙ্গ কন্যা স্মিতার।
আরোও পড়ুন : গঙ্গাসাগরে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ রেলের! ৭২ টি স্পেশাল ট্রেন চলবে এই দিন থেকে
ICSE বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় নজরকাড়া নম্বর নিয়ে পাশ করেন। সেন্ট ফ্রান্সিস ডিগ্রি কলেজ ফর ওম্যানে এরপর স্মিতা ভর্তি হন বাণিজ্য বিভাগ। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন তিনি। সেই মতো চলতে থাকে তার পড়াশোনা। এরপর স্মিতা ২০২০ সালে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন।
আরোও পড়ুন : এবার সামান্য টাকাতেই হয়ে যাবে MRI, CT Scan! বড় উদ্যোগ নিয়ে এখানে ল্যাব খুলল কলকাতা পুরসভা
এই পরীক্ষায় প্রথম চেষ্টাতেই চতুর্থ স্থান দখল করেন তিনি। প্রচুর নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি IAS পদে যোগ দেন। দেশের কনিষ্ঠতম আইএএস (IAS) অফিসার এই মুহূর্তে বাংলার স্মিতা। কঠিন পরীক্ষাগুলির জন্য অনেকেই রয়েছেন যারা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশোনা করেন। তবে স্মিতা সেই পথে না হেঁটে নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে পড়াশোনা করতেন। তিনি জানাচ্ছেন, দিনে মাত্র ছয় ঘন্টা পড়াশোনা করতেন।
নিয়মিত তিনি খবরের কাগজ পড়তেন। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও দেশের বিভিন্ন খবরাখবরের খোঁজখবর রাখতেন নিয়মিত। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে প্রথমে নিয়োজিত ছিলেন স্মিতা। এরপর তিনি দায়িত্ব সামলান গ্রামীন জল সরবারহ বিভাগ, মিশন ভাগীরথীর সচিবের। স্মিতা কিছুদিন কাজ করেছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর পদেও।