বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) কারখানা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে জোর চর্চা হচ্ছে। ‘দাদা’র কারখানা কোথায় তৈরি হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। এসবের মাঝেই হয়ে গেল জমি পরিদর্শন! সম্প্রতি ভূমি দফতরের আধিকারিকরা এই কাজ সেরে ফেলেন। তাহলে কি এবার শুরু হয়ে গেল ‘মহারাজে’র কারখানা তৈরির কাজ!
কোথায় তৈরি হচ্ছে সৌরভের (Sourav Ganguly) কারখানা?
মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর জেলা এবং সদর মহকুমা ভূমি দফতরের এক প্রতিনিধিদল চন্দ্রকোনা রোডের ডুকিতে প্রয়াগ ফিল্মসিটির (Prayag Film City) জমি এবং তার আশপাশ ভালো করে পরিদর্শন করেন। তাঁদের ছবিও তুলতে দেখা যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিনিধিদলে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেই গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। সৌরভের (Sourav Ganguly) কারখানার জন্যই কি এই জমি পরিদর্শন? শুরু হয়েছে চর্চা।
এই বিষয়ে ভূমি দফতর অথবা প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ‘দাদা’র সংস্থাকে জমি হস্তান্তর সম্বন্ধে ‘ফাইনাল ডিসিশন’ নেওয়ার জন্য এই জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য ভূমি দফতরের আধিকারিকদের জমি পরিদর্শনের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্পাত কারখানার প্রক্রিয়া চলছে’।
আরও পড়ুনঃ মারধর থেকে ইলেকট্রিক শক, পুলিশকে দিতে হয় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার! ঢোলাহাট কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য
অন্যদিকে ফিল্মসিটির একজন কর্মী বলেন, তিনটি গাড়িতে করে মেদিনীপুর থেকে ভূমি দফতরের অনেকে এসেছিলেন। সব কিছু দেখার পর তাঁরা ছবি তুলে নিয়ে যান। উল্লেখ্য, সৌরভ প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ইস্পাত কারখানার (Sourav Ganguly Iron Factory) কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে সেই জায়গা বদলে যায়। শোনা যায়, প্রয়াগ ফিল্মসিটির জমিতেই ‘দাদা’র কারখানা তৈরি হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, ‘ফিল্মসিটির জমিতে সৌরভদের কারখানা হবে বলে জানি’। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিল্মসিটির ৩৫০ একর জমিতে ‘মহারাজে’র কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে সৌরভের (Sourav Ganguly) কারখানা হওয়ার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যেও উৎসাহ দেখা গিয়েছে। অনেকেই এখন থেকে চাকরির আশা করছেন। ফিল্মসিটির এক কর্মী বলেন, ‘ইস্পাত কারখানা তৈরি হলে আমাদের কাজের বিষয়টাও নিশ্চয়ই ভাবা হবে’। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি প্রবিষ্ট মাহাতো বলেন, আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কারখানা হোক। দাদার কারখানা তৈরি হলে স্থানীয় অনেকে কাজ পাবেন।