বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি (Enforcement Directorates)। কিছুদিন আগেই ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ অবধি কতগুলি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে সেই তথ্য জানতে খাদ্য দফতরে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রেশন দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই এবার ভুয়ো রেশন কার্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির কাছে পেশ করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) নয়া মোড়?
ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে রেশন কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানতে মোট তিনবার রাজ্যের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্সে গেল সেই নথি। সূত্রের খবর, খাদ্য দফতরের তরফে এক হাজার পাতার নথি পাঠানো হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রচুর পরিমাণে ভুয়ো রেশন কার্ডের তথ্য তাদের হাতে এসেছে। সেসবের সত্যতা যাচাই করতেই এই পদক্ষেপ।
আগেই রাজ্যের কাছে চিঠি দিয়ে ইডি জানতে চেয়েছিল, মৃত্যুর পরে কোনও ব্যক্তির রেশন কার্ড নিয়ম মেনে বাতিল করা হচ্ছে, না কী সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে রেশন তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ রেশন কার্ডের সংখ্যাও জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছে রাজ্য।
আসলে ইডি বুঝতে চাইছে বায়োমেট্রিক কার্ড চালু হওয়ার পর রাজ্যে কত পরিমাণ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। বায়োমেট্রি শুরু হওয়ার পরও ভুয়ো রেশনকার্ড দিয়ে সামগ্রী নেওয়া হত বলে অভিযোগ এসে পৌঁছেছিল তাদের কাছে। অভিযোগ ছিল রেশনের মাল তুলে তা বেশি দামে বাজারে বিক্রি করা হত। এই ভাবেই চলত গোটা দুর্নীতির খেলা। আর কালো টাকায় পকেট ভরতো অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত! রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বড় ঘোষণা করল মমতা সরকার, ধন্য ধন্য করছে সকলে
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক। গ্রেফতার হয়েছেন আরও অনেকেই। বর্তমানে দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবার চাপে পড়ে তালিকা পাঠাল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।