হালিশহরে (halishahar) বিজেপি (bjp) নেতা খুনের ঘটনাকে ঘিরে এই মুহুর্তে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বাংলার মানুষ এই সন্ত্রাস বেশিদিন বরদাস্ত করবেন না বলে এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ। তার স্পষ্ট বক্তব্য, জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলার দিনই বোঝা গিয়েছিল রাজ্যের রাজনীতি কোন দিকে এগোচ্ছে। হিংসা ও ভয়ের রাজনীতি করে তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
দিলীপ ঘোষের আরো আশঙ্কা ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই বাংলায় হিংসা বাড়বে। দিলীপ ঘোষের থেকে এক কদম এগিয়ে বিজেপি নেতা ও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু হুমকি দিচ্ছেন বদলার। অন্যদিকে বিজেপির মুকুল রায় এই প্রসঙ্গে টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন বিজেপির গৃহসম্পর্ক অভিযান চলাকালীন মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা সৌরভ ভাওয়ালের। বিজেপির তরফ থেকে ট্যুইট করে দাবি করা হয় যে, ‘আরও একটি হত্যা। এবার হালিশহরে বিজেপির কর্মী সৈকত ভাওয়ালকে তৃণমূলের গুণ্ডারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। তৃণমূলের এই হামলায় বিজেপির ছয়জন কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের কল্যাণীর জেএন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপির ডোর টু ডোর অভিযানের সময় ওঁর উপর হামলা করা হয়।”
অঅন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই হামলার কথা অস্বীকার করে দাবি করা হয় ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন হয়েছেন এই বিজেপি নেতা। যদিও বিজেপি এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরাই এই আক্রমণের পিছনে রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটের আগে আরেকটি মৃত্যু ঘিরে উত্তার বাংলার রাজনীতি ।