বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা বলে বিবেচিত ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর স্বপ্ন। অনেকেই বলেন, চূড়ান্ত অধ্যবসা ও একনিষ্ঠতা না থাকলে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফলতা (Success Story) অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে আইপিএস অফিসার আকাশ কুলহারির গল্পটা একটু অন্যরকম।
আকাশ কুলহারির সাফল্যের গল্প (Success Story)
দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় কোনওরকমে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আকাশ। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫০-এর ঘরে। তবে অদম্য জেদ ও পরিশ্রমের জেরে প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসি ক্র্যাক করে লক্ষ লক্ষ ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) প্রার্থীর কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন আকাশ কুলহারি। রাজস্থানের বিকানের জেলায় জন্ম আকাশের।
আরও পড়ুন : অন্য রকম হওয়ার কথা ছিল শেষটা, ‘সপ্তপদী’র ক্লাইম্যাক্স বদলাতে বাধ্য করেন সুচিত্রা! কিন্তু কেন?
ছোটবেলায় খুব একটা মেধাবী ছাত্র হিসাবে কিন্তু পরিচিত ছিলেন না আকাশ। এমনকি দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় আশানুরূপ রেজাল্ট না হওয়ায় স্কুল থেকে বহিস্কৃতও হতে হয়েছিল তাঁকে। দশম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় মাত্র ৫৭% নম্বর পাওয়ায় একাদশ শ্রেণীতে আকাশকে ভর্তি নিয়ে চায়নি স্কুল। অগত্যা আকাশের বাবা তাকে ভর্তি করেন বিকানের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন : রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পের সতর্কতা, শিয়রে শমন ভারতের পড়শি দেশে!
এরপরই ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে আকাশের জীবন। পুরনো ক্ষত থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করেন পড়াশোনা। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবস্যার জেরে ৮৫% নম্বর নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আকাশ। এরপর স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য আকাশ ভর্তি হন কুলহারি বিকানেরের দুগ্গাল কলেজে। স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনার জন্য আকাশ সুযোগ পান দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)।
তবে এখানেই শেষ নয়। মাস্টার ডিগ্রি অর্জনের পর মাধ্যমিকে মাত্র ৫৭ শতাংশ নম্বর পাওয়া আকাশ ভর্তি হন এম.ফিলে। পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিও। ইউপি পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট uppolice.gov.in-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ ব্যাচের আইপিএস (Indian Police Service) অফিসার আকাশ কুলহারি।
২০০৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় আকাশের র্যাঙ্ক ছিল ২৭৩। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আকাশ। মাধ্যমিকে মাত্র ৫৭ শতাংশ নম্বর পাওয়ায় যে ছেলেকে একটা সময়ে ভর্তি নিতে চায়নি স্কুল, সেই ছেলেই আজ সফল (Success Story) আইপিএস অফিসার হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সমাজের বুকে।